পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ভালুকায় মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান (৫০) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে হাতকড়া পড়িয়ে সাদা পোশাকধারী পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনতার প্রহারে মডেল থানা পুলিশ (কনস্টেবল নম্বর-১০৫৪) রঞ্জু (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় এএসআই আবুল মুনসুর কৌশলে সটকে পড়ে ঘটনাটি থানায় জানালে ওসি (তদন্ত) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আহত কনস্টেবলকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে অন্তত ৫/৬ ব্যবসায়ী আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে উপজেলার গোয়ারী মুক্তির বাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮টার দিকে গোয়ারী আমুনাটিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম ফকিরের ছেলে ভালুকা খারুয়ালী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান গোয়ারী মুক্তির বাজারে আলফাজ ডাক্তারের ওষুধের দোকানে বসে কথা বলছিলেন। এসময় সাদা পোশাকে ভালুকা মডেল থানার এএসআই আবুল মুনসুর কনস্টেবল রঞ্জুকে নিয়ে সেখানে যায় এবং মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের চেয়ারের নীচ থেকে একটি পুটলা তুলে তাতে গাঁজা রয়েছে বলে তাকে অভিযুক্ত করে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার ফিরুজা খাতুন ও সাদেক হোসেন শোভা মেম্বারসহ এলাকার লোকজন সিদ্দিককে না নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং সে এলাকায় ভাল লোক বলে সুপারিশ করেন। কিন্তু তারপরও পুলিশ সিদ্দিকুর রহমানকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী এএসআই মুনসুর ও রঞ্জুর উপর চড়াও হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এএসআই মুনসুর সটকে গিয়ে থানায় খবর দেয়। পরে ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হযরত আলী অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে কনস্টেবল রঞ্জুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠান এবং স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মেম্বার সাদেক হোসেন শোভাকে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে পুলিশ এলোপাতারি লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ৫/৬ দোকানদার আহত হন।
ওই বাজারের দোকানীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের দোকানপাটে হামলা চালিয়ে লোকজনকে ব্যাপক মারধোর করেছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ধরণের নাটকীয় ঘটনার মাধ্যমে নিরিহ মানুষকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান জানান, মাগরিবের নামাজের পর আলফাজ ডাক্তারের ওষুধের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় সাদা পোশাকে পলিশ আমাকে অহেতুক মাদক বিক্রির অভিযোগে হাতকরা পড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় দোকানদারগণ প্রতিবাদ করেন এবং পরে পুলিশের সাথে এলাকাবাসির অপ্রীতকর ঘটনা ঘটে।
ভালুকা খারুয়ালী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান একজন আদর্শ শিক্ষক। গাঁজাতো দূরের কথা তিনি ধূমপানও করে না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক দাবি জানান।
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: হযরত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নামের মিস্টেকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।