প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : এ ধরনের দোয়া সবাই সবার জন্য সবসময়ই করতে পারেন। তবে দোয়া কবুলের যেসব বিশেষ সময়ের কথা হাদিসে আছে, সে সময়গুলোতে কবুলের সুযোগ বেশি। যেমন- হজে, সফরে, বৃষ্টির সময়, অসুস্থতার সময়, জুমার দিন, আজান ইকামতের মধ্যে, তাহাজ্জুদে ইত্যাদি। উত্তম দোয়া বলতে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত সকল দোয়াই উত্তম। নিজের ভাষায় নিজের মনের আকুতি ও প্রার্থনা দোয়া হিসাবে আরো কার্যকর। যেখানে মানুষ পরস্পরের দ্বীন-দুনিয়া ও আখিরাতের সকল মঙ্গল কামনা করে। দরূদ শরিফ একটি স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ দোয়া। যার দ্বারা সব চাওয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়। কোরআনে বর্ণিত ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সগিরা’ বাবা-মায়ের জন্য অন্যতম দোয়া। ঠিক তেমনি ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব’ দোয়াটিও খুব ভালো। স্ত্রী-সন্তানের জন্য বিশেষ দোয়া ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াযিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’য়ুনিউ ওয়ায আলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা’। আরবি দোয়ার চেয়ে নিজের প্রাণ খোলা প্রার্থনা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখানে ‘রাব্বানা আতিনা...’ সবকিছুকে শামিল করে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।