পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান পোড়ানোর অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বিচারিক আদালত বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এরপর আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি চেয়ে করা হয়। কিন্তু প্রায় ২০ দিনেও আমরা আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাইনি। অথচ আদেশের একদিন পরেই যা পেয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি আমরা হাইকোর্টকে অবহিত করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেছি। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় ৮ যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা করে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তর করা হয়।গত ১ জুলাই কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখালেও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি ৮ অগাস্ট শুনানির জন্য রেখে দেন। গত ১১ জুলাই হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিলের পাশাপাশি হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। হাইকোর্ট কুমিল্লার আদালতের জামিন আবেদনটি ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। গত ২৫ জুলাই কুমিল্লার আদালত খালেদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে ২৯ জুলাই ফের হাইকোর্টে তার জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়েই ৬ অগাস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রুল নিষ্পত্তি করে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনে প্রেক্ষিতে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারিক গত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন নাকচ করলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
অরফানেজ মামলায় দুদকের রুল শুনানি শুরু: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এ শুনানি করেন দুদক আইনজীবী। আদালত এ শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। এর আগে গত ১৩ আগস্ট জামিনের মেয়াদ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করে খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি ২ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট।
চিকিৎসা নিয়ে রিটের শুনানি মুলতবি: বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর রিট করেন খালেদা জিয়া। আবেদনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনাসহ তার চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।