পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা ও নড়াইলের মানহানি অভিযোগে দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দুটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে ওই দুই মামলায় জামিন বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। মানহানি মামলায় জামিন হলেও কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় জামিন না থাকায় আপাতত খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলছে না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল প্রমুখ। পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে হাইকোর্টের দেয়া জামিনই বহাল থাকলো। এগুলো জামিনযোগ্য মামলা। বিচারিক আদালত জামিন না দেয়ায় আমাদের উচ্চ আদালতে আসতে হয়েছিল। হাইকোর্ট জামিনও দিয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক উদ্দশ্যে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার জন্য তার জামিনের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল। দুটি মামলাই জামিনযোগ্য, বরং জামিন না দেয়াই একটা অপরাধ। তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ যেভাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে, তাতে জামিন পাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও আরও কয়েকটি মামলার কারণে তার মুক্তি হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ওই মামলা দায়ের করেন।
আরেকটি মামলা হয় ঢাকায়। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন। পৃথক ওই দুই মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। গত ৩০ আগস্ট চেম্বার বিচারপতির আদালতে তা ওঠে। সেদিন েেচম্বার বিচারপতি আবেদন দুটি ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি হয়। পরে আপিল বিভাগ দুই মামলা জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।