Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার হবে কি?

প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা যায়নি। এ বিষয়ে যেসব তৎপরতার কথা শোনা যাচ্ছে, তার সবই অনেকটা দায়সারা গোছের বলে মনে হচ্ছে। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মধ্যে নিহিত রয়েছে আমাদের হতদরিদ্র জনগণের ঘাম ও রক্ত। কিন্তু জনগণের এই কষ্টার্জিত অর্থ উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে দেশের সার্বভৌমত্বের অন্যতম প্রতীক এবং রিজার্ভের অর্থ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা লোপাট হওয়ার ঘটনা আমাদের জাতীয় সক্ষমতা ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। আর যত কথাই বলা হোক না কেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও নৈরাজ্যটা সর্বসাম্প্রতিক নয় বরং গত দেড় দশকে ব্যাংকিং খাতে ৯টি বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। যদিও রিজার্ভ চুরির ঘটনাটা অভিনবই বলতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৭ বছরে সংঘটিত ছয়টি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চুরি বা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বড় এসব আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ। কিন্তু একটি কেলেঙ্কারিরও বিচার হয়নি।
বেশ কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলছে, যা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে আস্থাহীনতা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। নিকট অতীতে পুঁজিবাজার, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, বেসিক ব্যাংক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারির সাথে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে রিজার্ভ চুরির ঘটনা, যা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারিগুলোর অন্যতম।
ব্যাংকিং খাতে চলছে নজিরবিহীন নৈরাজ্য। বিনিয়োগ না বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত পড়ে আছে। ব্যাংকগুলো যে ঋণ দিচ্ছে তা আনাদায়ী থাকা বা কাকে ঋণ দেয়া হবে, তা নিয়ে সংকট রয়েছে। ব্যাংকগুলোর কেবল লাভের পেছনে ছোটা, বিপুল অঙ্কের খেলাপি ও মন্দ ঋণ ব্যাংকিং খাত অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ব্যাংকগুলোর আইটি সিস্টেম সুরক্ষিত না থাকা এবং মুলধন ঘাটতি এখন চরমে উঠেছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে এ অবস্থা এখন নিয়মেই পরিণত হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আমানত সংগ্রহে অসম প্রতিযোগিতা লক্ষ্যনীয়। ব্যবস্থাপনার সংকট, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রকট। ব্যাংকিং খাত মূলত আমানতনির্ভর। বড় ধরনের অর্থায়নে বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট থাকায় এখানে ঋণপ্রবাহ কম। আর যেটুকু ঋণ দেওয়া হয়, তার বড় অংশই নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক পরিবেশে ঋণ প্রবৃদ্ধিও কম এ খাতে। এসব কিছু বিবেচনায় ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল মনে করে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স। সম্প্রতি সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম হলো ঋণ নিবিড়তা।
মূলত ব্যাংকিং সেক্টরে এমন হ-য-র-ল-ব অবস্থার জন্য রাজনৈতিক বিবেচনা ও অদক্ষ এবং অযোগ্যদের নিয়োগকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার নজির থাকার কারণেই আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টরসহ কোনো সেক্টরেই শৃঙ্খলা নেই। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার সুনির্দিষ্ট উদাহরণ নেই আমাদের দেশে। কিন্তু অন্য দেশে নজিরবিহীন শাস্তি দেয়ার উদাহরণ রয়েছে। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাসদাকের সাবেক চেয়ারম্যান বার্নার্ড মেডফের শেয়ারবাজারে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে ১৫০ বছর জেল দেয় এবং ১৭০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়, যা আমাদের জন্যও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আমরা বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারলেও এই ঐতিহাসিক কাজটি করার সাফল্য দাবি করেছে ফিলিপাইন। দেশটির সিনেট কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে জুয়া ব্যবসায়ী কিম অং ইতোমধ্যে ৯৮ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন। সেই অর্থ বাংলাদেশকে ফেরত দিতে বেশ আন্তরিক ও তৎপর ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ জুন ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ওই অর্থ ফেরত দিতে চায় তারা। তবে সে জন্য তাদের আদালতে কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য সে দেশের আদালতের অনুমতি চেয়েছে ফিলিপাইন। গত ১৮ এপ্রিল করা এ-সংক্রান্ত মামলার-পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২ মে। কিম অংয়ের জমা দেওয়া ৯৮ লাখ ডলার এখন ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আছে। আদালতের অনুমোদন পেলে ওই অর্থ ফেরত পাবে বাংলাদেশ। ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্য থেকে বাকি সাত কোটি ১২ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে রিজাল ব্যাংককে। কারণ কোনো ধরনের ব্যাংকিং রীতিনীতি না মেনে হ্যাকিং হওয়া অর্থ হস্তান্তর করেছে তারা। উল্লেখ্য, আগামী ৯ মে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনাও নির্বাচনী রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকার তার মেয়াদকালেই যতটা সম্ভব অর্থ বাংলাদেশকে ফেরত দিতে আগ্রহী। দেশটির সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেম্পোরে রাল্ফ রেক্টো বলেছেন, ‘বর্তমান প্রেসিডেন্ট অ্যাকুইনো ৩০ জুন ক্ষমতা ছাড়ছেন। ওই সময়ের মধ্যেই উদ্ধারযোগ্য সব টাকা ফেরত দেওয়া যাবে। এটা আমাদের জাতীয় সময়সীমা হওয়া উচিত।’ ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ বলছে, আপাতত ব্যবসায়ী কিম অংয়ের দেওয়া অর্থ ফেরত পেতে ওই মামলায় বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে পক্ষভুক্ত হয়ে অর্থের মালিকানা দাবি করতে হবে। না হলে কিমের দেওয়া ৯৮ লাখ ডলার ফিলিপাইন সরকারের নিজস্ব তহবিলে জমা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে অবস্থা সেদিকেই মোড় নিচ্ছে।
নালিশি অর্থ যে বাংলাদেশের, এ ব্যাপারে ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো সন্দেহ নেই। তবে তা ফিরে পেতে আদালতে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিজেদের জড়াতে রাজি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য হচ্ছে, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষকে এটি বোঝানোর কিছু নেই যে, ওই টাকার মালিক বাংলাদেশ ব্যাংক। টাকার উৎস সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে গেলেই তারা প্রমাণ পাবে যে ওই টাকার মালিক বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই আদালতে মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে এই মুহূর্তে টাকার মালিকানা দাবি করার পক্ষে নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকরা। কিন্তু কী কারণে পক্ষভুক্ত হতে বাংলাদেশ ব্যাংক রাজি নয় তা এখন রহস্যাবৃত্তই রয়ে গেছে। জানা গেছে, ফিলিপাইনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) জন গোমেজ নিয়মিত সিনেট কমিটির শুনানিতে থাকছেন, মামলার গতিবিধির বর্ণনা তুলে ধরে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাচ্ছেন। সিনেটর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত সভা করে অর্থ আদায় ও ফেরত প্রক্রিয়া নজরে রাখছেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তাও থাকছেন এসব কাজে। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নিচ্ছে বলে দাবি করলেও সে পদক্ষেপগুলো কী, তা খোলাসা করছেন না কেউ।
রিজার্ভ চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) একটি চিঠি তৈরি করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছেন এ মাসের প্রথম দিকে। ওই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের একটি স্বাক্ষর চেয়েছে ব্যাংকটি। আরসিবিসির একজন আইনজীবী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে গভর্নর সই করলে তখন তা যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে রূপ নেবে। ওই চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দাবি করবেন যে আরসিবিসির চারটি ভুয়া অ্যাকাউন্টে ঢোকা আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মালিক বাংলাদেশ ব্যাংক। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ওই চিঠিটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠিটি ফিলিপাইনে পাঠানো হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ‘মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স অব ক্রিমিনাল ম্যাটারস অ্যাক্ট, ২০১২’-এর আওতায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে গত ১৬ এপ্রিল ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে ফিলিপাইনের আদালতে চলমান অর্থ ফেরত-সংক্রান্ত মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে লড়তে ফিলিপাইনের আইন বিভাগকে অনুরোধ করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। অর্থাৎ, ফিলিপাইনে চলমান মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ হয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে দেশটির আইন বিভাগের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তবে সেখান থেকে এ বিষয়ে কোনো সম্মতি পাওয়া গেছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চুরির অর্থ যাদের অ্যাকাউন্টে গেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা, অর্থ উত্তোলন ও অন্যত্র সরবরাহে জড়িতদের প্রতিনিয়ত শুনানিতে ডাকছে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটি। অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের চাপ দিচ্ছে। অর্থপাচার আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। ফিলিপাইনের মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থা এএমএলসির করা মামলায় ব্যবসায়ী কিম অং ও উইলিয়াম গোর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন আদালত। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিনের মধ্যে বাংলাদেশ অর্থের মালিকানা দাবি করলে দ্রুত তা ফেরত পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ঢাকার আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা দাবি করছেস, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে মামলা করার ক্ষেত্রে বেশ জটিলতা রয়েছে। হ্যাক করে রিজার্ভ চুরির বিষয়টিকে সাইবার অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। আবার ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ বা চুরি হিসেবে দেখলে অন্য আইনে মামলা করতে হবে। সে কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক মামলায় এখনই আগ্রহী নয়। তবে ‘স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি ইনিশিয়েটিভ (স্টার)’-এর আওতায় চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্বিক পর্যালোচনায় রিজার্ভ চুরির ঘটনায় নাটকীয়তা বেশ জমেই উঠেছে। শুরুতেই বলা হয়েছিল যে, চুরি যাওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে। কিন্তু পরক্ষণেই বলা হয় বিভিন্ন কথা। ঘটনা তদন্তে একাধিক তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। এ ধরনের তদন্ত কমিটি গঠনের ঘটনা আমাদের দেশে মোটেই অভিনব নয় বরং এর কোনো ইতিবাচক ফল আসলে সেটাকেই অভিনব বলতে হবে। কারণ অতীতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা বরং প্রতিবেদনগুলো কখনো আলোর মুখই দেখেনি। হালে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে এ কথা বলা মোটেই অত্যুক্তি হবে না যে, চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারে আমাদের আন্তরিকতার অভাব ও উদাসীনতা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার হবে কি?
আরও পড়ুন