পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাত ধোয়ার কাজে সাবানের বদলে হ্যান্ডওয়াশ জায়গা করে নিয়েছে অনেকদিন। এখন শুধু শহরেই না, গ্রামেও হ্যান্ডওয়াশের ব্যবহার বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। খাবার খাওয়ার আগে কিংবা যেকোনো সময় হাত পরিষ্কারের জন্য হ্যান্ডওয়াশের উপরেই নির্ভরশীল অনেকে। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য যার ওপরে নির্ভর করছেন তা আসলে শরীরের ক্ষতি করছে না তো! হ্যান্ডওয়াশ যদি সঠিক মানের না হয় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে।
যে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা হয় তা সঠিক মানের কিনা সেটি যাচাই না করেই ব্যবহার করেন বেশিরভাগ মানুষ। আর তাতেই হতে পারে বিপদ। এমন বিপদের সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকায় ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দেখেছে, বহু প্রোডাক্টেই এমন উপাদান থাকে যা শরীরকে ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার বদলে মারাত্মক ক্ষতি করে।
সাধারণ যেসব হ্যান্ড ওয়াশ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বলে বিক্রি করা হয় তাতে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখে তবেই ব্যবহার করা উচিত। এর মধ্যে দুটি উপাদন প্রায়ই ব্যবহার করা হয় যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। ট্রাইক্লোসান ও ট্রাইক্লোকার্বন নামের দুই উপাদান থাকলে হাত ধুয়ে খেলেও হ্যান্ডওয়াশের কারণে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই দু’টি উপাদান ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে পারলেও শরীরের পক্ষে ভালো নয়। বিভিন্ন গবেষণা বলেছে, এই রাসায়নিক শরীরে গেলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক আচরণ ও প্রজনন ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরনের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারে ক্ষতির আরও ভয় রয়েছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারের ফলে এমন জীবাণু জন্ম নিতে পারে যারা কোনো ওখুধেই মরে না। ‘ড্রাগ রেজিসটেন্ট জার্ম’ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ।
শুধু হ্যান্ড ওয়াশ নয় এই ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া নাশক উপাদান সাবান, টুথপেস্ট, মাউথ ওয়াশ, ডিটারজেন্টেও থাকে। তবে কোনো ক্ষেত্রেই সাধারণভাবে জীবানুনাশকের পরিমাণ ০.৩ শতাশের বেশি হলে তা ব্যবহার করা উচিত নয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও (হু) বিভিন্ন সময়ে এর অপকারিতা নিয়ে সতর্ক করেছে। হু-এর পরামর্শ হচ্ছেঃ হাতে যদি সত্যিই খুব ময়লা থাকে তবে খাবার খাওয়ার আগে সাবানে হাত ধোয়া উচিত। তারপর জীবাণুমুক্ত হতে হলে অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। এগুলো জীবাণু মারে কিন্তু অন্য কোনো ক্ষতি করে না। সূত্র : সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।