Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রানীর জন্মদিনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়ার কেক

প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিনের কেক বানিয়ে আবারও আলোচনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিনের কেক বানানোর অনুমতি পায় গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ জয়ের নাদিয়া হুসেন। জাঁকজমকের মধ্যে উইন্ডসরে পায়ে হেঁটে রানী শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নাদিয়া হুসেনকে পাশে নিয়ে কাটলেন তার বানানো জন্মদিনের কেক। নাদিয়া জানান, প্রথমে যখন তাকে রানীর কেক বানানোর প্রস্তাব দেয়া হয়, তিনি ভেবেছিলেন ঠাট্টা। কিন্তু বৃহস্পতিবার উইন্ডসর ক্যাসলে রানীর সামনে উপস্থাপনের আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় তার কেটেছে রান্নাঘরে। রানী এলিজাবেথ নাদিয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেকে কী দেয়া হয়েছে। উত্তরে নাদিয়া বলেন, অরেঞ্জ ড্রিজল। এরপর রসিকতা করে রানী জানতে চান, এই কেক কাটবে কিনা? নার্ভাস নাদিয়ার উত্তর, আই হোপ সো। রাজকীয় সোনালী আর পারপল রঙের ওই কেক যখন রানী কাটছিলেন, সবার কণ্ঠে তখন জন্মদিনের গান। রন্ধনশিল্পী নাদিয়ার সঙ্গে হাতও মিলিয়েছেন ব্রিটেনের রানী। চেখে না দেখলেও কেকের প্রশংসায় বলেছেন, দেখতে সুস্বাদুই মনে হচ্ছে। অবশ্য নাদিয়ার কেকের চেহারা সবাইকে তুষ্ট করতে পারেনি বলে মেইল অনলাইনের খবর। টুইটারে যেসব প্রতিক্রিয়া এসেছে, তাতে ওই কেক প্রশংসা কুড়াতে পারেনি খুব বেশি। তিন স্তরের ওই কেক দেখে পিসার হেলানো টাওয়ারের কথা মনে হয়েছে একজন টুইটার ব্যবহারকারীর। আরেকজন লিখেছেন, তিনি নাদিয়ার ভক্ত, কিন্তু কেকটা ছিল হাস্যকর। রানীর জন্মদিনের জন্য নাদিয়ার বানানো ওই কেক ‘খুব বেশি সাধারণ আর অ্যামেচার কাজ’ বলে মনে হয়েছে কারও কারও কাছে। অবশ্য রানীর কেক বানানোর সুযোগ যেহেতু বার বার আসে না, এর প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন নাদিয়া। কেক বানাতে গিয়ে জটিলতার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আমি ভেবেছিলাম কেউ আমাকে এ ব্যাপারে কোন পরামর্শ দেবে, কিন্তু তা দেয়া হয়নি। এতে কাজটা আরও কঠিন হয়েছে। অবশ্য বেশ স্বাধীনতাও পেয়েছি, সৃজনশীলতার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল আমার হাতে। আটটি ভিন্ন ভিন্ন নকশা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করলেও শেষ পর্যস্ত এই অরেঞ্জ কেক বানাতে মনস্থির করেন লুটনের বাসিন্দা নাদিয়া। তার কেকে আরও ছিল ভ্যানিলা স্বাদের মাখনের পুর আর কমলার মোরব্বা। বানানোর পর ওই কেক নিজের হাতে রানীর প্রাসাদে নেয়ার সাহস হয়নি নাদিয়ার। শেষ পর্যন্ত এক কুরিয়ার কোম্পানির সহযোগিতা নেন। গাড়িতে করে কীভাবে নেব ভাবতেই অস্থির লাগছিল, বলেন নাদিয়া।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেন নাদিয়া। সেই শিরোপা নাদিয়ার সাফল্যের ঝুড়িতে যোগ করেছে আরও অনেক কিছু। আইটিভির ‘লুস উইমেন’ অনুষ্ঠানে নাদিয়া প্রায় নিয়মিত অতিথি। দ্য টাইমস এবং এসেনশিয়াল-এ নিয়মিত কলাম লিখছেন। আসছে জুনে বের হচ্ছে তার প্রথম রান্না-বিষয়ক বই নাদিয়া’স কিচেন। আর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে শিশুদের জন্য রচিত বেক মি অ্যা স্টোরি। এছাড়া বিভিন্ন টিভি-রেডিওর অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি তো আছেই।
য় মেহরিন কুইন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রানীর জন্মদিনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়ার কেক
আরও পড়ুন