পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে তার আইনজীবীদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আগামী ৭ অক্টোবর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যে আবেদন করা হয়েছে সেই বিষয়ে ধার্য তারিখে উচ্চ আদালতের আদেশ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন সমাপ্ত করে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্যে জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপরও ৭ অক্টোবর আদেশ দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ দিকে এ মামলায় জামিনে থাকা আসামি মনিরুল ইসলাম খানের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলার অপর আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়। এছাড়া দুই আসামীর বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে যে আবেদন করেছেন তা খারিজ করে দিয়েছেন।
মামলার কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার করার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন সেই বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে গিয়েছি। এপর আমরা সেই বিষয়ে শুনানি করব। সেজন্য একটি যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। কারাগারে আছেন।
দুদকে পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তারা এসে জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেছে। খালেদা জিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করি এটা বলে জামিন আবেদন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে প্রতিনিধিত্ব না করে যদি জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়, তাহলে খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। অপর দুই আসামীপর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন না করায় তাদের জামিন বাতিলের আবেদন করছি। তাদের সব আবেদন নামঞ্জুর করে রায়ের তারিখ ধার্যের জন্য আবেদন করছি।
এরপর খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশে বলেছেন, আইনজীবীরা ইচ্ছা করলে আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেবেন। একটা লোক জেলে থাকলে তার পক্ষে কি কেউ আদালতে প্রতিনিধিত্ব করতে পরে? কারাগারে থাকা আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচারের নজির নেই। এসময় মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আপনি ডিফেন্ড করেন কাকে? আসামী তো কোর্টে নেই। জবাবে মাসুদ আহমেদ বলেন, আপনারা তাকে আনেন। তখন কাজল বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে আনতে পারি। কিন্তু অসম্মান হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশে বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল হবে না, তার কারণ দেখাবেন তাঁর আইনজীবীরা। আর খালেদা জিয়াকে প্রতিনিধিত্ব না করলে তাঁর পক্ষে জামিনের দরখাস্ত দিতে পারেন কি না, সে কারণ দেখাবেন তাঁর আইনজীবীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।