পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। ৩০ বছরের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে আত্মহননকারীদের সংখ্যা। বয়োবৃদ্ধ ছাড়া সকল বয়সী মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে এই প্রবণতা বেড়ে গেছে। মধ্যবয়সী নাগরিকদের মধ্যে বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে সর্বাধিক।
মার্কিন সরকারের এক কেন্দ্রীয় জরিপে দেখা গেছে, ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স্ক মধ্যবয়সী মহিলাদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে ৬৩ শতাংশ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামগ্রিকভাবে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে ২৪ শতাংশ। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান কেন্দ্রের এই জরিপ তথ্য প্রকাশ করা হয় গত শুক্রবার।
এতে দেখা যায়, ১৯৮৬ সালের পর প্রতি এক লাখ মার্কিনীর মধ্যে ১৩ জন আত্মহত্যা করেছে। ২০০৬ সাল থেকে এই সংখ্যা ২ শতাংশ হারে বেড়ে এসেছে এবং এর পূর্ববর্তী জরিপের তুলনায় তা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৪ সালে আত্মহত্যা করেছে ৪২ হাজার ৭৭৩ জন মার্কিনী। ১৯৯৯ সালে এই সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজার ১৯৯ জন।
স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান কেন্দ্রের সিনিয়র উপদেষ্টা ক্যাথরিন হ্যাম্পস্টিড বলেন, যে কোন বয়সী নাগরিকদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। মধ্যবয়সীরা চাকরি ও ব্যক্তিগত আর্থিক সঙ্কটের কারণে বেশি আত্মহত্যা করছে। এ ছাড়াও এ গবেষণা জরিপে আরও দেখা যায় মেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে ১০ থেকে ১৪ শতাংশে। ২০১৪ সালে মোট আত্মহত্যা করেছে দেড়শো মেয়ে। ১৯৯৯ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৫০। ক্যাথরিন বলেন, হঠাৎ করেই যেন এই সংখ্যা বেড়ে গেলো।
এ ছাড়াও আত্মহত্যার ক্ষেত্রে আমেরিকান-ইন্ডিয়ানরা এগিয়ে আছে অন্যান্য ধর্ম ও জাতি-গোষ্ঠীর চেয়ে। তাদের সংখ্যা বেড়েছে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৮ শতাংশ। শ্বেতাঙ্গ নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৮০ শতাংশ।
হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও ‘আওয়ার কিডস্্’ গ্রন্থের লেখক রবার্ট ডি পার্টনাম বলেছেন, আত্মহণনের এসব ঘটনার পেছনে দারিদ্র্য, হতাশা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা জড়িত। বর্তমানের এই চিত্রটি মার্কিন সমাজের জন্য বেশ উদ্বেগজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ১৯৫০ সালের পর থেকে আত্মহত্যার এই প্রবণতা কম বা স্থিতিশীল ছিলো। কিন্তু আকস্মিকভাবেই তা যেন বেড়ে গেছে। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এই প্রবণতা প্রতিরোধে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তারা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধের পরামর্শ দেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।