পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ সভায় (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের যক্ষা রোগ ও চিকিৎসা সফলতার বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এ সভায় প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা যক্ষা নির্মূলের লক্ষ্যে অঙ্গীকার করেন
সভায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে বাংলাদেশের যক্ষা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। সেখানে জানানো হয়, বর্তমানে যক্ষারোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে। ন্যাশনাল প্রিভালেন্স সার্ভের তথ্যমতে বর্তমানে প্রতি লাখ জনসংখ্যার মধ্যে যক্ষা রোগী ২৬০ জন যা পূর্বে ছিল ৪০৪ জন। ২০১৭ সালে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং চিকিৎসার আওতায় এসেছে। চিকিৎসার সফলতার হার শতকরা ৯৫ ভাগ যা খুবই প্রশংসার দাবিদার। এখনও যারা সনাক্তকরণের বাইরে আছে তাদেরকেও সনাক্তকরণের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা চিকিৎসায় বাংলাদেশের উদ্ভাবিত পদ্ধতি বিশ্ব গ্রহণ করেছে। ২৪ মাসের পরিবর্তে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষার রোগীকে ৯ মাসে সুস্থ করা সম্ভব হচ্ছে। নতুন এই পদ্ধতি যক্ষা নিয়ন্ত্রণে নতুন সম্ভবনার সৃষ্টি করেছ। বাংলাদেশে ওষধ প্রতিরোধী যক্ষার চিকিৎসার সফলতার হার শতকরা ৮৪ ভাগ। ৯ মাস মেয়াদি চিকিৎসায় এবং শতকরা ৭৭ ভাগ ২৪ মাস মেয়াদি চিকিৎসায় - এ দুই অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বে অগ্রগণ্য।
যক্ষা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। যক্ষা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ন, অপুষ্টি, দারিদ্র প্রভৃতি সমস্যার কারনে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১০ দশমিক ৪ মিলিয়ন লোক নতুনভাবে আক্রান্ত হচ্ছে এবং ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন রোগে মৃত্যুবরণ করছে। এসব মৃত্যুর বেশীর ভাগই উন্নয়নশীল দেশে ঘটছে এবং যাদের মধ্যে অধিকাংশই কর্মক্ষম নারী ও পুরুষ। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষাকে গ্লোবাল এমার্জেন্সী ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার যক্ষার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৫ সালের পর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষার মহামারীকে আলোকপাত করার জন্য একটি নতুন কৌশল অনুমোদন করে। তা হলো-২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে যক্ষারোগের মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশে কমানো এবং নতুনভাবে সনাক্ত যক্ষারোগীর হার ৯০ শতাংশে কমিয়ে আনা। এর সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক থাকবে যা নাকি ২০২৫ সালের মধ্যে অর্জন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (টিবি, ল্যাপ্রসি) ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইভি/এইডস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম জানান, জাতিসংঘের যক্ষা বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বিশ্বে নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। যক্ষা নিমূর্লে এবং এসব লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকার উন্নত প্রযুক্তির ১৯৩ টি জেনে এক্সপার্ট মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা সহ সকল ধরনের যক্ষারোগী সনাক্তকরণে সমর্থ হয়েছে। এভাবে রোগ সনাক্তকরণ ও আরোগ্যের হার ধরে রাখতে পারলে এন্ড টিবি লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সফল হব। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।