পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সকল বাণিজ্য বাধা দূর করতে ভারত-বাংরাদেশ একমত। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্য রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাসমুহ তুলে ধরা হয়েছে। পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য, ভোজ্য তেলসহ বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
বর্ডার হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে চারটি বর্ডার হাট চালু রয়েছে, আরো ছয়টি বর্ডার হাট চালুর বিষয় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে বাংরাদেশের শেরপুর জেলার নাকুগাঁও এবং ভারতের ডালু সীমান্তে একটি বর্ডারহাট অল্প কিছুদিনের মধ্যে চালু করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ২১টি পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই-এর টেষ্টিং রিপোর্ট গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ১৫টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহন করা হযেছে, অবশিষ্ট ছয়টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহণ করতে ভারত সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া আরো ছয়টি পণ্যের রিপোর্ট গ্রহন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। ভারত সরকার মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি লোকসভায় রেকটিফাই করে তা বাস্তবায়ন করেছে। সিটমহলবাসী এখন স্বাধীন জীবনযাপান করছে। উভয় দেশের বাণিজ্য এখন আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ রফতানি করছে ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমাদানি করছে ৮৬১৯.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক র পণ্যের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে আমদানি করে অনেক দেশে পণ্য রফতানি করে থাকে। সেখানে বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। এখন ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যে রফতানি বাড়ছে।
গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের বাণিজ্য, শিল্প ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
সুরেশ প্রভু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত খুশি। উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। উভয় দেশের সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। বৈঠকে আমরা সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সমাধানের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে ভারত খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসটিআই-এর টেষ্টিং রিপোর্ট গ্রহন, ভোজ্যতেল রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতা, নতুন বর্ডারহাট চালু, পাটপণ্য রফতানিসহ যে সকল সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুবককে কাজে লাগানোর সুযোগ এসেছে। ট্যুরিজম ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এ মূহুর্তে বাংলাদেশের জন্য সার্ভিস সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বিষয় গুলোতে আমরা একমত হয়েছি। উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হবে।
বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক. টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী।
ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শিংলা, ভারতের বাণিজ্য বিভাগের (এফটি-এসএ) যুগ্ম-সচিব ভুপিনদার বাল্লা বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণারয়ের যুগ্ম সচিব শেফালী জুনিগা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।