পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মামলায় আদালতের বিচারকের প্রতি দুই আসামির অনাস্থা বিষয়ে আজ (বুধবার) আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল পুরোনো কেন্দ্রীয় করাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্যও এ দিন ধার্য করেছেন।
দুই আসামী বিচারকের প্রতি এই অনাস্থা আবেদনের ওপর মঙ্গলবার আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত আদেশ না দিয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। এছাড়া আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। অপর দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি রাখার জন্য গতকালও আসামীপক্ষে আবেদন করা হলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন।
শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলার বিচার বাধাগ্রস্থ করতে তারা আদালতের প্রতি অনাস্থ দিয়েছে। এরকম কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি যে আসামিপক্ষ অনাস্থা দেবে। বাস্তবে তাঁরা ষড়যন্ত্র করছেন। তারা সহযোগিতা না করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আসামিদের যুক্তিতর্ক এর সুযোগ দিয়ে মনে হচ্ছে, আমরা ভুল করেছি। এখন যুক্তিতর্ক না করলে মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করবেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়া নিজে আদালতে এসে বলে গেছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ। খালেদা জিয়া একা চলতে পারেন না। এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেন না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাথরুমে পড়ে গেছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সুস্থ হলে তিনি আদালতে আসবেন। তার উপস্থিতি ছাড়া আমরা মামলার যুক্তি উপস্থাপনের শুনানি করতে চাচ্ছি না। তার সুস্থ হওয়া পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতবি চাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারের যে আদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। তিনি আরো বলেন, আদালতের প্রতি অনাস্থার মতো লজ্জকর বিষয় আর নেই। এ পর্যায়ে এসে যুক্তিতর্ক ছাড়া মামলা শেষ করার কোনো নজির নেই। আগে আছে কি না দেখেন। কিংবা আপনি নজির সৃষ্টি করতে চান। আইজি প্রিজন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে বলেছেন। আমরা শুনেছি। আপনি জামিন বর্ধিত করে, আমাদের যুক্তিসংগত সময় দেন। বিরতীর পর আদালত বলেছেন, আপনারা কি আদালতে আসেন কেবল জামিন নেয়ার জন্য? আপনারা বিচারকে বিলম্বিত করছেন। এরপর আদালত এ মামলায় কারাগারে আটক আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার ডিভিশন এবং পরিবারের সদস্যরা তার সাথে সাক্ষাতের আবেদন করলে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন। এবং এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের শুনানি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।