পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রে আরো ৩ জন জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করেছে ডিবি। তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের প্রথম দিনে গোয়েন্দা হেফাজতে থাকা শফিক রেহমান গুরুত্বপূর্ণ এ তথ্য দিয়েছেন বলে ডিবির দাবি।
গতকাল রোববার পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই তিনজনকে আইনের আওতায় আনা হবে। ওই তিনজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল। তবে তারা তিনজনই বাংলাদেশি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। তাদের কেউ প্রবাসে, কেউ বাংলাদেশে থাকে।
পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো বলেন, জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ডলার সাংবাদিক শফিক রেহমানের নামে যাওয়ার তথ্য এসেছে। বাকি ২০ হাজার ডলার যাদের নামে গেছে, তাদের খোঁজা হচ্ছে। তাদের নামও বলেছেন শফিক রেহমান। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তাদের নাম বলা যাচ্ছে না।
প্রথম দফা রিমান্ড শেষে শফিক রেহমানকে আবারো পাঁচ দিনের রিমান্ডে আনার কারণ জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, তার কাছ থেকে যেসব ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে সেগুলো সম্পর্কে আরো জানতে এবং অসম্পূর্ণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে ফের রিমান্ডে আনা হয়েছে। শফিক রেহমানের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
এক প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, সোমবার মাহমুদুর রহমানকে আদালতে নিয়ে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশ গত বছরের আগস্টে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। ১৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আটক করে। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখায় পল্টন থানা পুলিশ।
ওই মামলায় শফিক রেহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। শুক্রবার শফিক রেহমানকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। একই মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই। যে কোনো হত্যাকা-ের পর আইএসের দায় স্বীকার করে বার্তা পাঠানো এখন একটা সংস্কৃতি হয়ে গেছে। আইএসের নামে যা প্রচার করা হচ্ছে তা আদৌ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।