পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : তিন বছর আগে রানা প্লাজা ভবনটি ধসে পড়ে, এর নিচে চাপা পড়ে অগণিত শ্রমিক। আর এ ঘটনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একদিনে বাংলাদেশ হারায় ১১শ’রও বেশি প্রাণ এবং ওইদিন যারা বেঁচে গিয়েছিল তাদের জীবন সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। অনেকেই হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। অনেকে আহত হয়েছে আজীবনের জন্য। আজকের এই বর্ষপূর্তিতে আমরা তাদের দুঃখের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
রানা প্লাজার দুঃখজনক ভবন ধস আমাদের সকলের ওপর একটি দায়িত্ব অর্পণ করেছে। সরকারি কর্মকর্তা, শ্রমিক, কারখানা মালিক এবং ভোক্তা হিসাবে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করার ও এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যেন শ্রমিকদেরও বলার অধিকার থাকে।
গত তিন বছর ধরে ৩৬শ’রও বেশি কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে মানুষ এখন কারখানার নিরাপত্তাজনিত তথ্য পেতে পারেন ওয়েবসাইটের এই ঠিকানায়, যঃঃঢ়://ফধঃধনধংব.ফরভব.মড়া.নফ/ভধপঃড়ৎরবং। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২শ’রও বেশি পরিদর্শক নিয়োগ দিয়েছে এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়াও একটি টোলমুক্ত হেল্প লাইন চালু করেছে যার নম্বর হল, ০৮০০-৪৪৫০০০। হাজারও কারখানা তাদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ৩১টি কারখানা সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই সকল কিছুই চমৎকার অর্জন যা জীবন রক্ষা করতে পারে।
আমরা আরও বিশ্বাস করি যে, শ্রমিকদের জোরালো ও শক্তিশালী মতামত প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে তারা বলতে পারবে, ‘আমরা এমন ফেটে যাওয়া দেয়াল-যুক্ত ভবনে কাজ করব না এবং তাদের সেই মতামত যেন শোনা হয় এবং সম্মান করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারও ইতিমধ্যে শত শত নতুন ইউনিয়নের নিবন্ধন দিয়েছে। আমরা শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা গণতান্ত্রিকভাবে তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কমিটির প্রতিনিধি নির্বাচন করেন যাতে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকে। রানা প্লাজা ভবন ধবসের ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য, তাদের পরিবারের জন্য এবং এই ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন আসুন আজকে আমরা এক মুহূর্ত সময় নিয়ে তাদের কথা স্মরণ করি। বাংলাদেশের শ্রমিক, মালিকপক্ষ এবং সরকারের সাথে একসাথে কাজ করার জন্য আসুন আমরা ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করি যেন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে। একটি উন্নততর ও অধিকতর উজ্জীবিত তৈরি পোশাক খাত নির্মাণে এবং শ্রমিকের অধিকার ও নিরাপত্তার সাথে সাফল্য যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সে জন্যও আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।