Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার’ প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে ছাড়ল ওয়ালটন

প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিশ্বের সবর্শেষ ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে আনল ওয়ালটন। ওয়ালটন যার নাম দিয়েছে ‘ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার’। এই প্রযুক্তি ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কমাবে ব্যাপকভাবে। বাড়বে ফ্রিজ ও কম্প্রেসারের স্থায়িত্ব। ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার ব্যবহারের ফলে ইউরোপ আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছল ওয়ালটন।
জানা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে প্রধানত ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এই প্রযুক্তি জনপ্রিয়। ওয়ালটন গত বছরের শেষের দিকে গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় ফ্রিজ উৎপাদনে ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে।
কয়েক মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সফলভাবে তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
গত জানুয়ারি থেকে নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন ফ্রিজের বাজারজাত শুরু হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ব্যাপকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। ইনভার্টার টোকনোলজির অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফ্রিজের দাম অনেক বেশি রাখা হলেও ওয়ালটন বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে এই ফ্রিজ বিক্রি করছে, যাতে প্রযুক্তির সুফল সাধারণ জনগণ সহজেই ভোগ করতে পারে।
এখন পর্যন্ত ইনভার্টার প্রযুক্তির ৮টি মডেলের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে এই দেশীয় ব্র্যান্ড। বাজারজাতকৃত এই ফ্রিজগুলো হচ্ছে ৩২৩, ৩৪৮, ৩৮৬, ৩৯৬, ৪৩০, ৫১২, ৫২৬ ও ৫৮৫ লিটার ধারণক্ষমতার। আগামী জুনের মধ্যে ইনভার্টার প্রযুক্তির আরো ৭টি মডেলের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে।
ওয়ালটন সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তির নো-ফ্রস্ট ফ্রিজগুলো সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি এই ফ্রিজগুলো রফতানি করা হবে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোতে।
গত জানুয়ারিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ইনভার্টার প্রযুক্তির নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ প্রদর্শন করা হয়েছিল। ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে আগত বিদেশী ক্রেতারা বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারা উচ্চ প্রযুক্তির এই ফ্রিজগুলো দেখে মুগ্ধ হন এবং বিপুল পরিমাণ ফ্রিজ আমদানির ইচ্ছা পোষণ করেন।
ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, দেশের বাজারে ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ নিয়ে এসে ওয়ালটন নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে বাজারজাতকৃত এই প্রযুক্তির ফ্রিজগুলো ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হয়েছে। তার মতে, এর ফলে প্রতি মাসে প্রায় ১৫ শতাংশ হারে ফ্রিজ বিক্রি বাড়ছে ওয়ালটনের।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ওয়ালটনের বিভিন্ন সাইজের ২০টি মডেলের ফ্রিজে ব্যবহার করা হবে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার। ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে এ প্রযুক্তিতে তৈরি ফ্রিজগুলো বাজারে ছাড়া হবে।
ওয়ালটন ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর তাপস কুমার মজুমদার বলেন, ফ্রিজের কম্প্রেসারে দুই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। একটি ইন্ডাকশন এবং অন্যটি ইনভার্টার নামে পরিচিত। ইন্ডাকশন প্রযুক্তিতে থাকে এসি মোটর। আর ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসারে ডিসি মোটর। ইন্ডাকশন মোটরের তুলনায় ইনভার্টার প্রযুক্তির মোটরে কম্প্রেসার চালু হতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় প্রায় ৮-১০ গুণ কম। পাশাপাশি ইনডাকশন মোটরের তুলনায় কম চলে বলে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসারের স্থায়ীত্বও প্রায় দেড় গুণ বেশি বলে দাবি করেন তাপস মজুমদার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার’ প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে ছাড়ল ওয়ালটন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ