পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুই আসামি আদালতের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন। লিখিত আবেদন তাঁরা আদালতকে বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তাঁকে আদালত হাজির না করা হলে এ মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশ আইনসংগত হবে না। এ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন না। এ আবেদনের পর আদালত এক আসামির জামিন বাতিল করে মামলার শুনানির জন্য (মঙ্গলবার) আজকের দিন ঠিক করেছেন। এ বিষয়ে আদেশ দিবেন আদালত। সোমবার ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এই দিন খালেদা জিয়ার মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন আদালত।
আদালতের প্রতি অনাস্থা দেয়া দুই আসামি হলেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে জিয়াউলকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত।
শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার (খালেদা জিয়াকে) বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। খালেদা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি চান। তাঁরা আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চালানোর আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন। জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে বিচার চলার যে আদেশ হয়েছে, তা আইনসিদ্ধ হয়নি। এসময় তখন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলায় জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন রয়েছে। এ মামলার বিচারকে বিলম্বিত করছে আসামিপক্ষ।
একপর্যায়ে জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবীর লিখিত আবেদন দিয়ে বলেন, এ আদালতের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। এ কারণে মামলাটি অন্য আদালতে হস্তান্তর চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন। এ জন্য ২০ কার্যদিবস শুনানি মুলতবি চান।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জিয়াউল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া ও মনিরুল ইসলামের জামিন বহাল রাখেন। কারাবিধি অনুযায়ী খালেদাকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে আদালত আগামীকাল যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করেন। আদালতের প্রতি অনাস্থা চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, সে ব্যাপারে আদেশ দেয়ার দিন ঠিক করেন বিচারক।
আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করেন। এর আগে এ মামলার বিচার চলছিল পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে। এ মামলায় দুদক তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির যুক্তিতর্ক শুনানি বাকি রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।