পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত করা সড়কের পাশের প্রাচীন শতবর্ষী গাছ রেখেই চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে শুরু হচ্ছে বেনাপোল যশোর মহাসড়কের পুন:নির্মাণ কাজ। দুই লেনের এ মহাসড়কের কাজ শুরুর কাজ প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সড়কের পাশের প্রাচীন গাছ রেখেই সড়ক উন্নয়ন কাজ হবে দুটি ধাপে প্যাকেজ আকারে। যশোর শহরের দড়াটানা থেকে বেনাপোল বন্দরের বাংলাদেশ অংশের নোম্যান্সল্যান্ড পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটারের এ মহাসড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে এ মহাসড়কের পুন:নির্মাণ কাজের দরপত্র প্রাপ্তির পর তা মূল্যায়নের জন্যে ক্রয় কমিটিতে গেছে। সেখান থেকে দরপত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর স্বাক্ষর হয়ে গেছে। এবার তা অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে কাজ শুরু হতে অক্টোবরের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত লেগে যাবে বলে জানান।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, বেনাপোল সড়কের মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ আরো অগেই শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু মহা সড়কের পাশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বড় বড় গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় শুরু হয় আন্দোলন। যশোর ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় আন্দোলন। পরিবেশবিদরা গাছ রাখার পক্ষে অনড় থেকে পালিত হয় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি। গাছ রাখার পক্ষে আদালত মামরা হলে গাছ রাখার পক্ষে রায় দেয়া হয়। অন্যদিকে সরকারও নীতিগতভাবে গাছ রেখে ঐতিহাসিক যশোর রোড বা যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। শেষ পর্যন্ত গাছ রেখেই সড়ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর এ নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হলে দরপত্র জমার প্রক্রিয়াও শেষ হয়। এখন বাকি শুধু কাজ শুরুর পালা। অবশ্য অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কতটি দরপত্র জমা পড়েছে ও কারা কাজ পাচ্ছে তা প্রকাশ করতে নারাজ সড়ক বিভাগের কর্মর্কতারা।
২০১৯ সালের শেষ দিকে এ মহাসড়কের পুন:নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সড়ক বিভাগ। যশোর -বেনাপোল মহাসড়কটির উন্নয়ন হলে বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যে আরো গতিশীলতা আসবে। বাড়বে রাজস্ব আয় প্রক্রিয়া।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলার হোসেন চৌধুরী জানান, ভারতের সাথে সরাসরি সংযুক্ত সড়কটি উন্নয়ন করা হলে সরকারের রাজস্ব য়ায় বাড়বে। বোনপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে ৩০ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য হয়। সড়কটি দ্রুত পুন:নির্মাণ কাজ শেষে হলে এই পথে বাড়বে বাণিজ্য। বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।