পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কূটনৈতিক জোনে সউদী দূতাবাস স্থানান্তরের পর সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার (ড্রপ বক্স) চালু হচ্ছে। শিগগিরই গুলশান থেকে সউদী দূতাবাসের অফিস কূটনৈতিক জোন বারিধারায় সরিয়ে নেয়া হবে। দূতাবাসের নতুন অফিসে প্রতিদিন ৬/৭ শ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ভিড় এড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ ত্রিশ থেকে পঞ্চশটি বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে ভিসা সার্ভিস সেন্টারের অনুমোদন দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। সউদী দূতাবাসের একটি সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত এসব ভিসা সার্ভিস সেন্টারগুলো অনুমোদন পেলে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এজেন্সীর জমাকৃত পাসপোর্ট ভিসার জন্য দূতাবাসে নিয়ে জমা দিবে। আবার বিকেলে দূতাবাস থেকে ভিসাপ্রাপ্ত পাসপোর্ট এনে এজেন্সীগুলোর কাছে সরবরাহ করবে। এ ব্যাপারে সউদী ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে।
বায়রার শীর্ষ নেতা আব্দুল হাই এ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কূটনৈতিক জোনে সউদী দূতাবাসের নতুন অফিসের সামনে প্রতিদিন ৭ শতাধিক এজেন্সির লোকজনকে জায়গা দেয়া সম্ভব হয়ে উঠবে না। তিনি বলেন, সরকারও কূটনৈতিক জোনের সউদী দূতাবাসের সামনে এতো জনবলের সমাগমের সুযোগ দিতে রাজি হবেন না। সউদী দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রতিদিনের ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ভিসা সার্ভিস সেন্টার অনুমোদন দিয়ে তাদের মাধ্যমে ভিসা জমা ও ডেলিভারি দেয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে চাচ্ছে। এ জন্য প্রত্যেক যাত্রীর পাসপোর্ট দূতাবাসে আনা-নেয়ার জন্য ৫ শ টাকা ফি ধরার প্রস্তাব দিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, প্রস্তাবিত সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার (ড্রপ বক্স) চালু হলে দেশটির বৃহৎ শ্রমবাজার সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কোনো কোনো রিক্রুটিং এজেন্সী। বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, প্রস্তাবিত সউদীর ড্রপ বক্স আর ভিসা সার্ভিস সেন্টার মূদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এ প্রক্রিয়া চালু হলে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ও এজেন্সীগুলোর ভোগান্তি বাড়বে। বায়রা মহাসচিব বলেন, যদি একান্তই ড্রপ বক্স চালু করতে হয় তা হলে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বায়রাকে দায়িত্ব দিতে পারে। বায়রার সাবেক নেতা নূরুল আমিন বলেন, সউদী দূতাবাসের নতুন অফিসে আগত শত শত রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিক-প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত সউদী ড্রপ বক্স চালু হলে যারা সিন্ডিকেটের গন্ধ পাচ্ছেন তারা নিজেদের অপকর্ম ডাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন । বায়রার সহ-সভাপতি মনছুর আহমেদ কালাম বলেন, সউদী ভিসা সার্ভিস সেন্টার চালু হলে তারা শুধু পোষ্ট অফিসের দায়িত্ব পালন করবে। প্রস্তাবিত ভিসা সার্ভিস সেন্টারের অধীনে সউদী শ্রমবাজার (সিন্ডিকেট) চলে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।