Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে পরবর্তী শুনানি সোমবার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন। চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার কাজ মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর।
আদেশে আদালত বলেছেন, এ মামলার আসামি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত হাজিরা অন্তর্বতী সময়ের জন্য মওকুফ করা হল। মামলার কার্যক্রম যথারীতি চলবে। তার আইনজীবীরা চাইলে আদালতে তার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবেন। এছাড়াও খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ব্যাপারে আদালত বলেছেন, জেল কোড অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল মামলা চালানো যাবে কি না এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও আমিনুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর আদালতের বিশেষ পিপি আবদুল্লাহ আবু রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০-এর এ ধারা অনুযায়ী আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন।
শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। খালেদা জিয়া তাঁদের বলেছেন, তিনি আদালতে আসতে চান। কারাগার কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে যে কথা বলেছেন তা ঠিক নয়। বাস্তবে সুস্থ হলে তিনি আদালতে হাজির হবেন। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ যে দরখাস্ত দিয়েছেন তা তিনি পারেন না। এ ব্যাপারে আদালত আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনে আদেশ দেন। ৫৪০ (এ) ধারার বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে বিচারক বলেন, আজকে আদেশের জন্য দিন নির্ধারিত আছে। আজকে আমরা বক্তব্য নেব না। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে আইনজীবী আমিনুল ইসলামকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছেন, খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চাননি। আদালতকে তিনি সহযোগিতা করছেন না। অপর দুই আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য আছে। অথচ তাঁদের পক্ষে যুক্তিতর্ক করা হচ্ছে না।
মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আসামি অক্ষম হলে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে তার হাজিরা হবে। বেলা ১টা ২০ পর্যন্ত শুনানি চলার পর বিচারক খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চালানোর আদেশ দিলে আদালত বিরতিতে যায়। দুপুর ২টার পর আবার আদালত বসলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আসামিপক্ষের নতুন একটি আবেদনের ওপর মিনিট দশেক শুনানি হয়। আদেশে বিচারক কারা বিধি অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন। যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ২৪, ২৫, ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করেন। ৫ সেপ্টেম্বর সেখানে আদালত বসেন। কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া সেদিন আদালতে হাজির হয়ে আদালতকে বলেছিলেন, এ আদালতে ন্যায়বিচার নেই। তিনি অসুস্থ। তিনি আর আদালতে আসবেন না। যত দিন ইচ্ছা আদালত তাঁকে সাজা দিতে পারেন। এর আগে এ মামলার বিচার চলছিল পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে। এ মামলায় দুদক তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির যুক্তিতর্ক শুনানি বাকি রয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ