পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় বিএনপি ও জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ৩ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভুতুড়ে মামলা করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যা পরিকল্পনা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে দাযেরকৃত এই মামলায় মৃত ব্যক্তি, প্রবাসী ও জেলখানায় আটক হাজতিকেও আসামি করা হয়েছে। ৭৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৩শ‘ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলার খবরে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বিএনপি, জামাতের সকল নেতাকর্মীরা। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামাত নেতা মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা শফিউল আলম ফরিদকে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর সাড়ে বারোটায় বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ও সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের স্থানীয় সোনারামপুর নামক স্থানে রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিভৃত করার চেষ্টা করলে জোটকর্মীরা পুলিশের উপর ইট পার্টকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সেচ্ছাসেবক দল এবং ইউনিয়ন কমিটির সকল নেতার্মীকে আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রকৃতপক্ষে মামলায় উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে আশুগঞ্জে বিএনপি কিংবা ২০ দলীয় জোটের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। মহাসড়কের পাশ^বর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওইদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ এলাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলায় অভিযুক্ত এক নম্বর আসামি আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ জানান, তিনি মামলায় উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ছিলেন। এদিন আশুগঞ্জে বিএনপি কিংবা ২০ দলীয় জোটের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করতে সারাদেশেই এ ধরনের গায়েবি মামলা করছে।
মামলার অনেক অসঙ্গতি সাধারণ মানুষের মাঝেও হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। মামলায় ২ নম্বর আসামি হিসেবে উপজেলার খড়িয়ালা গ্রামের কাইয়ুম চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তিনি গত ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট ইন্তেকাল করেছেন। ১১ নম্বর আসামি চরলালপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আলীম গত এক বছর যাবত সউদী আরবে অবস্থান করছেন বলে আলীমের পিতা মলাই মিয়া দাবি করেন। মামলার ১৫ নম্বর আসামি চরচারতলা গ্রামের মৃত কাদির মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন অন্য একটি মামলায় তিন মাস যাবত জেল হাজতে রয়েছেন। ৪৭ নম্বর আসামি মৃত আব্দুল কাদির মাস্টারের ছেলে এনামুল হক মামলায় উল্লেখিত ঘটনার তারিখ ও সময়ে আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন বলে কোম্পানি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু বলেন, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন ও সময়ে আশুগঞ্জে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না । মহাসড়ক অবরোধের মতো কোন কর্মসূচি থাকলে স্থানীয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা অবশ্যই জানতেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী উপ পুলিশ পরিদর্শক সুদীপ্ত রেজা জয়ন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম তালুকদার বলেন, কোন ঘটনা ছাড়াতো আর মামলা হয়নি। আসামিদের নামের ব্যাপারে কোন অসঙ্গতি থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।