সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় এসে কারো মুখ বা গলা চেপে ধরিনি। আমরা সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কারো কথা বলার অধিকারও কেড়ে নিইনি।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে একটি টেলিভিশন ও একটি রেডিও পেয়েছি। এর পর আমরা বেসরকারি খাতে টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিই। সংবাদপত্র ও রেডিও যে যেভাবে চেয়েছে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
তিনি বলেন, শুধু সাংবাদিক নয়; সব পেশাজীবী মানুষের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি মনে করি এটি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ বঙ্গবন্ধুও সারাজীবন শুধু মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি সাংবাদিকদের জীবন কেমন। তাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। বেতনেরও নিশ্চয়তা কম। এ কারণে আমি নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নিয়মিত প্রেসক্লাবে যেতাম। আড্ডা দিতাম, চা-পুরি, সিঙ্গাড়া খেতাম।
শেখ হাসিনা বলেন, সকালে এক কাপ চা ও একটি পত্রিকা যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, এটা তা আপনারা বোঝেন। টেলিভিশন বন্ধ রেখে সকালে পত্রিকা নিয়ে বসি। সব পত্রিকা যে পক্ষে লেখে তা নয়। প্রয়োজনীয় সংবাদগুলো মার্ক করি। সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলি। সংবাদপত্র থেকে অনেক তথ্য পাই। দুর্গম জায়গার অনেক তথ্যও সংবাদপত্রে আসে। তাতে আমরা সহযোগিতা পাই। এ জন্য সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।