পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ চক্রান্তে’ এফবিআই কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার মামলার বিচারে তার ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। ওই বিচারের সূত্র ধরে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হলেও ওই লেনদেন নিয়ে কেন কথা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেশকৃত মার্কিন সরকারের ডকুমেন্টে ‘ইনডিভিজুয়াল ওয়ান’ অর্থাৎ সজীব ওয়াজেদ জয় ও ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে সরকার টুঁ শব্দ করছে না কেন? শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংকগুলোর যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে তার বিচারও কেন হচ্ছে না?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলতে চাই, এই দুটি বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্র আছে কি না এটা জানার অধিকার অবশ্যই জনগণের আছে। তাই জনগণ এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত চায়। জনগণ জানতে চায় যে, সন্দেহজনক এই লেনদেনের ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উৎস কী? এ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক কে? এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, সরকার জনগণের এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জয়কে অপহরণ চক্রান্তের যে অভিযোগ প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা ‘কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জয় সম্পর্কিত সংরক্ষিত তথ্য পেতে এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদ- হয়েছে, যে মামলায় তার সূত্র ধরে শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
তবে ওই মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র সরকারের লিখিত রিপোর্ট, অভিযুক্ত কিংবা সাক্ষীদের জবানবন্দি, মামলার রায় এমনকি ঢাকার রমনা থানায় দায়েরকৃত এফআইআর কিংবা পল্টন থানায় দায়েরকৃত মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান কিংবা বিএনপির কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুধু জয়ের ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে জমা দেওয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আদালত গ্রহণ না করা সত্ত্বেও শুধু তার (জয়) ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের উপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং বয়োবৃদ্ধ ও ভালো মানুষ বলে পরিচিত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হল ও রিমান্ডে নেয়া হল। শফিক রেহমান ও কারাবন্দি ‘আমার দেশ’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ফাঁসাতে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিএনপির মুখপাত্র।
শফিক রেহমানকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, শফিক রেহমান বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ। তাকে প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, যা অমানবিক বলে আমরা মনে করি।
শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করতে চাই, বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দল হিসেবে অপহরণ কিংবা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং বর্তমান ক্ষমতাসীনদের আমলেই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী অপহরণ ও হত্যার শিকার হয়েছে, যার কোনো বিচার আজও হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, এসব হত্যা বিচার আজ হোক কাল হোক হবে, ইনশাল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।