পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনারের সাথে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে জিতাতে গোপন লিখিত চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়মের সহিংসতা হয়েছে বলে উল্লেখ করে দলটি বলছে, ‘আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হত্যা নির্বাচনকে রক্তাক্ত করা, সেই পৈশাচিক ঐহিত্য তারাধরে রেখেছে। রক্তাক্ত করেছে ইউনিয়েনের পর
ইউনিয়ন, অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে, তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এমনটি তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষেও অনেককে হত্যা করেছে।’
গতকাল (শনিবার) বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকারের জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তাদের অধীনে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সহিংস ও ভোট ডাকাতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আসছে দেশবাসী’।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক সংঘটিত লগি-বৈঠার সেই পৈশাচিক ও লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞের কথা এখনও ভুলে যায়নি।
রিজভী বলেন, ‘সব কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি, বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি প্রশাসনের হামলা, তাদের গ্রাম ছাড়া করা, এলাকা ছাড়া করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রাণঘাতি রক্তাক্ত সহিংসতা ঠেকাতে কোন ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না, কারন ভোট ডাকাতির সাথে সংশিষ্ট ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের একহাতে টাকা অন্যহাতে অস্ত্রের ঝলকানি, আর তাদের মাথায় আপার (শেখ হাসিনা) আশীর্বাদ। যে আপা প্রধানমন্ত্রীত্বের গদি জোর করে দখল করে রেখেছে। সুতরাং এই সমস্ত গুন্ডা-পান্ডাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না নির্বাচন কমিশন, কারণ ঝুঁকি নিলে যদি চাকুরি চলে যায়!’
দেশবাসী জানেন এই সরকারের হাতে নির্বাচন সুষ্ঠ নয় উলেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসী ভালভাবেই জানে-আওয়ামী লীগের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ‘তারা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে প্রতিটি নির্বাচন নিয়ে তামাশার খেলা খেলেছে। এবারেও দেশব্যাপী প্রথম ধাপ থেকে তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহায়তায় পেশী শক্তির দ্বারা ভোট লুটপাটের যে খেলা প্রদর্শন করলো তার জুড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা রোধে ইলেকশন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি দেশবাসীর নিকট রসিকতা বলে মনে হয়েছে।’
সরকার আজ পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়েছে উলেখ করে রিজভী বলেন, ‘তাদের দখল করা ক্ষমতার স্বর্গ টিকিয়ে রাখার বিরুদ্ধে জনগণের ওপর দশগুন শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রে অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে নির্বাচন, সেই নির্বাচনকে সরকার উপহাসে পরিণত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির অর্থ বিষয়ক সসম্পাদক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উলাহ মিয়া, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাসার ছাত্রদল নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিসিতা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।