Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওলামা লীগ ছিল আছে থাকবে

প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যারা ওলামা লীগ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে তারা শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (রহ.) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করছে। কারণ ওলামা লীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন। ওলামা লীগ সম্পর্কে ‘বাটপাড়’ বা অন্য কোনো ব্যঙ্গশব্দ কাদের খুশি করার জন্য বলা হয়েছে, জাতি তা বুঝে। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব পীর আখতার হোসেন বুখারী, কার্যকরী সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, আলহাজ্ব মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, মাওলানা শেখ শওকত আলী সেলিমপুরী, ডা: মাওলানা আবদুস সোবহান, হাফেজ মোস্তাফা চৌধুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে কথাগুলো বলেন।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, কোন মূল দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কে শাসন করা নাযায়েজ নয়। তবে শাসন করার ক্ষেত্রে ব্যবহারের শালীনতা থাকতে হবে। কিন্তু তা না করে ওলামা লীগকে ‘বাটপাড়’ বলে ব্যঙ্গ করায় দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হককানী ওলামা মাশায়েখ মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের জানা থাকা উচিৎ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ওলামা লীগ সারা দেশ ব্যাপী সংগঠন। সংগঠনের বিপুল ত্যাগী কর্মীরা আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক জামায়াত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ যখন ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয় থেকে বিতাড়িত, তখন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবদুল জলিল ও বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধে ওলামা লীগের বর্তমান নেতৃবৃন্দ (যাদের বাটপাড় বলা হচ্ছে) সেই সময়ে ওলামা লীগ কৌশল অবলম্বন করে রমনা ভবনে নামায আদায় শেষে পুলিশের প্রহরা ডিঙ্গিয়ে পার্টি অফিসের তালা খুলে উচ্চ স্বরে মিলাদ শরীফ পড়তে দেখে পুলিশ চলে যায়, তারপর ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ সারারাতব্যাপী পার্টি অফিসে কোরআন তিলাওয়াত করে। এ অবস্থায় পুলিশ আর হস্তক্ষেপ করেনি। পরের দিন সকালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে পার্টি অফিসে প্রবেশের সুযোগ করে দেন ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ। পরের দিন তৎকালীন সাধারন সম্পাদক মরহুম আবদুল জলিল মুক্তাঙ্গনে দাঁড়িয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগী সংগঠন ওলামা লীগকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের কারণে আজ আমরা পার্টি অফিসে প্রবেশের সুযোগ পেলাম। তাছাড়া ২০০১ সালে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সুধা সধনে সাক্ষাৎ করে বলেছিলেন। নেত্রী ধৈর্য ধরুন, ইনশাআল্লাহ আগামীতে আপানি ক্ষমতায় আসবেন। জবাবে নেত্রী চোখের পানি ফেলে বলেছিলেন, আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, এবং দোয়া করেন আমি ইনশাল্লাহ ক্ষমতায় আসবো। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক আলেম সমাজ কে নিয়ে আপনাদের সংগঠনকে আরো মজবুত করুন।
হেফাজতের আন্দোলনের সময় এইচ টি ইমাম ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দকে তার বাসভবনে ডেকে নিয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন তিন তিন বার উল্লেখিত বৈঠকগুলোতে বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের পরামর্শে ওলামা লীগ জাতীয় প্রেস ক্লাবে হেফাজতের আন্দোলনের বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সুতরাং, যারা ওলামা লীগের উপর বাটপাড়, বিভ্রান্তকারী, মাথায় দেয় না খায় ইত্যাদি ব্যঙ্গশব্দ চাপিয়েছেন, তারাই এইসব ব্যঙ্গশব্দের দোষে দোষী। উল্লেখ করা যেতে পারে, বিএনপির ৯২ দিন হরতাল অবরোধ চলাকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওলামা লীগের মানববন্ধনে, ওলামা লীগ সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারকারী সাবেক বন মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন। সংরক্ষিত ছবিই তার প্রমাণ । উল্লেখ্য, বিএনপি ক্ষমতা থাকাবস্থায় বিভিন্ন সময়ে পুলিশের নির্যাতন, হয়রানী, আক্রমণ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সহ আরো অনেককে প্রকাশ্যে রাজপথে রক্ষা করতে গিয়ে ওলামা লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী পুলিশের লাঠি পিটার শিকার হয়েছিলেন। সুতরাং যারা ওলামা লীগকে আশালীন শব্দ ব্যবহার করে আক্রমন করছে। তাদের বিরুদ্ধে ওলামা লীগ কি ধরনের ব্যঙ্গশব্দ ব্যবহার করে তাদের সম্বোধন করতে হবে, তা যেন তারাই শিখিয়ে দেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কেবলমাত্র পহেলা বৈশাখের অপসংস্কৃতির প্রতিবাদ করায় ব্যঙ্গকারীরা নাস্তিকদের সুরে ওলামা লীগের বিরুদ্ধে বাটপারসহ অন্যান্য অশালীন শব্দ ব্যবহার করে ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হুঙ্কার দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ওলামা লীগের বক্তব্য হচ্ছে, ওলামা লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত ওলামা লীগ রাজপথে ছিল এবং আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওলামা লীগ ছিল আছে থাকবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ