পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মার ভয়াল ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত নড়িয়াবাসীর পাশে না দাঁড়ানোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের তিরষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ছাড়াও সরকারের দায়িত্বশীল সিনিয়র মন্ত্রীদের ভর্ৎসনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা নদীর এই ভয়াবহ ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। সর্বস্ব হারিয়েছেন।এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাৎক্ষণিক হয়তো মানুষের এক্ষেত্রে তেমন কিছুই করার নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রী সময়মতো সেখানে যাননি। কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বস্ব হারানো মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ালে, তারা মানসিকভাবে শক্তি পেতো।যখন এটা হলো না তখন তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় নড়িয়ায় কোনো প্রকল্প নেই জানানো হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প তো মানুষের জন্য। যেখানে মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হচ্ছে, আস্ত আস্ত দালানকোঠা, বাজার, নগর নদীর বুকে হারিয়ে যাচ্ছে, মানুষ বিলাপ করছে, মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, মানুষের খাবার জুটছে না, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ভেসে যাচ্ছে। তখন প্রকল্প তো পরের কথা। আগে তো অসহায় মানুষের কাছে ছুটে যেতে হবে। তাদের বুকে জড়িয়ে ধরতে হবে। আশা দেখাতে হবে। পাশে দাড়াঁতে হবে।
ভাঙন ঠেকাতে শেখ হাসিনা কার্যকর ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্র
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন যাবত শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরে এখনও অব্যাহত রয়েছে পদ্মার ভাঙন। গত দেড় বছরে পদ্মার ভাঙনে সেখানে নিঃস্ব হয়েছে ৫ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে ৮ হাজার পরিবার। ভাঙনে নড়িয়ার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া উত্তারাঞ্চলেরও কুড়িগ্রাম. উলিপুর, চীলমারী, রংপুরের গঙ্গাছড়াসহবেশ কয়েকটি উপজেলায় নদীভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এখনো যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।