Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন ১১০১ চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:৩১ পিএম

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের এক হাজার ১০১ জন বিশিষ্ট চিকিৎস।  তারা এক বিবৃতিতে বলেছেনবিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সরকার কর্তৃক মেডিকেল বোর্ড যে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেতা দেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। একদিকে মেডিকেল বোর্ড বলছে খালেদা জিয়া ততটা অসুস্থ ননঅন্যদিকে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুপারিশ করেছে।

তারা বলেনপূর্বেই সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয় ও সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা উঠেছিল। সরকার বারবারই বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা ও বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা না করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এতে করে জনগণের মধ্যে এই ধারণা প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে যে জেলখানায় চিকিৎসা না দিয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের সাবেক ডিনশিশু সার্জারি বিভাগের  অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়ইতিপূর্বে অধ্যাপক ডা. এফ. এম. সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেশবাসীর সামনে তার সঠিক চিত্র তুলে ধরেছিলেন এবং তাকে তার পছন্দমতো ও বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু সরকার তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়েছে। তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন নাহুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ তিনি জেলে যাওয়ার আগে নিজে একা একা হাঁটাচলা করতে পারতেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কারাগারের এই নিঃসঙ্গতা তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার  আরও অবনতি ও জটিল আকার ধারণ করেছে।

আমরা চিকিৎসক সমাজ মনে করি সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ও গণতন্ত্রের নেত্রীকে বাঁচাতে হলে তার উপর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মাধ্যমে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার পছন্দমত বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এর দায় দায়িত্ব বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবেযোগ করা হয় বিবৃতিতে।

উক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- অধ্যাপক ডা.  মবিন খানঅধ্যাপক ডাঃ বায়েছ ভূঁইয়াঅধ্যাপক ডাঃ সিরাজউদ্দিন আহমদঅধ্যাপক ডাঃ আব্দুল মান্নান মিয়াঅধ্যাপক ডাঃ মিজানুর রহমানঅধ্যাপক ডাঃ এ কে এম আজিজুল হকঅধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেনঅধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনারঅধ্যাপক ডাঃ আব্দুল কুদ্দুসঅধ্যাপক ডাঃ মতিউর রহমান মোল্লাঅধ্যাপক ডাঃ এ এস এম এ রায়হানঅধ্যাপক ডাঃ ফিরোজা বেগমঅধ্যাপক ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলামঅধ্যাপক ডাঃ খাদিজা বেগমঅধ্যাপক ডাঃ এ কে এম ফজলুল হকঅধ্যাপক ডাঃ  শাহাবুদ্দিনঅধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলামঅধ্যাপক ডাঃ সাইফুল ইসলামঅধ্যাপক ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিকঅধ্যাপক ডাঃ আজিজ রহিমঅধ্যাপক ডাঃ রফিকুল কবির লাবুঅধ্যাপক ডাঃ হরুন অর রশিদডাঃ আব্দুস সালামঅধ্যাপক ডাঃ. আশরাফ উদ্দিনডাঃ সাইফুল ইসলাম সেলিমঅধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেনঅধ্যাপক ডাঃ শামিমুর রহমানঅধ্যাপক ডাঃ গোলাম মঈনউদ্দিনঅধ্যাপক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলঅধ্যাপক ডাঃ মনির হোসেনঅধ্যাপক ডাঃ তসলিম উদ্দিনম অধ্যাপক ডাঃ সেলিমুজ্জামানঅধ্যাপক ডাঃ চৌধুরী মোঃ হায়দার আলী সহ ১১০১জন চিকিৎসক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ