Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংশোধন করা হচ্ছে এক্সেল লোড নীতিমালা

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধে ২০১২ সালে করা ‘এক্সেল লোড নীতিমালা’ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পরিবহনে অতিরিক্ত পণ্য তুললেই ৩ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে। আর অতিরিক্ত প্রতিটনের জন্যও জরিমানা দিতে হবে ৫০০ টাকা করে।
একই অপরাধ একাধিকবার করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মতামত জানাতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। জানাযায়, অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন মহাসড় দ্রুত নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। এজন্য ২০১২ সালে সরকার এক্সেল লোড নীতিমালা প্রণয়ন করে। নীতিমালা অনুযায়ী এক্সেল লোড ও চাকাভেদে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানে ৫ দশমিক ৫ থেকে ২২ টন আর কনটেইনারবাহী টেইলারে ১৩ থেকে ৪৪ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করা যাবে। তবে সাড়ে পাঁচ টনের ট্রাকেই অনেক সময় ১০ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করা হয়।
এ অবস্থা ঠেকানোর জন্য এক্সেল লোড নীতিমালার সংশোধনের প্রস্তাব করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে।
জানা গেছে, ২০১২ সালের নীতিমালায় অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছিল না। অতিরিক্ত পণ্য খালাস করে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ছেড়ে দিতে হতো। খালাস করার কাজটিও করতে হতো সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। ফলে অতিরিক্ত পণ্য খালাস করলেও তা নিয়ে বিপাকে পড়ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
এজন্যই এবার নতুন কিছু বিধান যুক্ত করে মোটরযানের এক্সেল লোড নীতিমালার সংশোধন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করলেই ৩ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে গাড়ির চালককে। পাশাপাশি যত বেশি পণ্য পরিবহন করা হবে, তত অধিক হারে গুনতে হবে বাড়তি জরিমানা।
এক্ষেত্রে এক টন পর্যন্ত অতিরিক্ত পণ্য বহনের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। অতিরিক্ত পণ্য এক টনের বেশি, কিন্তু দুই টনের কম হলে প্রতি টনে ১ হাজার, দু-তিন টনের জন্য প্রতি টনে ২ হাজার, তিন-চার টনের জন্য টনপ্রতি ৩ হাজার, চার-পাঁচ টনের জন্য টনপ্রতি ৪ হাজার ও পাঁচ টনের বেশি হলে টনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে জরিমানা গুনতে হবে ট্রাকচালককে। পথের যেখানেই ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ধরা হোক, সেখানেই জরিমানা দিতে হবে।
কোনো মোটরযান একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও টনপ্রতি জরিমানার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। আর জরিমানা দিলে অতিরিক্ত পণ্য নিয়েই ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানকে নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে দেয়া হবে। তবে জরিমানা না দিলে চালক ও সহযোগীসহ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা হবে। মামলা ছাড়াও এক্ষেত্রে চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। আটককৃত পণ্য নষ্ট বা চুরি হলে তার দায়-দায়িত্ব চালককে বহন করতে হবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যমান নীতিমালায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন বন্ধ করা যাচ্ছে না। জরিমানার বিধান না থাকায় একই অপরাধ বারবার করছে ট্রাকচালকরা। তাই জরিমানার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। চালককে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়ার আশায় তারা অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করে। ফলে দ্রুত সড়ক সেতু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্সেল লোড সংশোধন-বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকেও বিভিন্ন পক্ষ এতে সম্মত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুতই এটি কার্যকর হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংশোধন করা হচ্ছে এক্সেল লোড নীতিমালা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ