পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগের সপ্তাহে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটির কারণে গত সপ্তাহে এক দিন কম লেনদেন হয়েছিল শেয়ারবাজারে। গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ কারণে আর্থিক লেনদেনেও তার প্রভাব পড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে। তবে লেনদেন বাড়লেও সূচক ও মূল্য-আয় (পিই) অনুপাতও কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজার মূলধনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় আর্থিক লেনদেন বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
তবে গড় হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় আর্থিক লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩৮৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে গড় লেনদেন কমেছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯১ দশমিক ৯১ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ২৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দিনেই এ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। ১০ টাকা বরাদ্দ মূল্যে আইপিওতে আসা এ কোম্পানির শেয়ারের দর প্রথম দিনের লেনদেন শেষে ১৮ দশমিক ৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এ কোম্পানির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫০ টাকা এবং দর বৃদ্ধির এ হার ৮৫ শতাংশ।
তবে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই শেয়ারের দর কমেছে। এর ফলে গত সপ্তাহে ডিএসইর তিনটি সূচকই কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি ইস্যুর মধ্যে ৮৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ২২৭টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দর। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৪৪০৮ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা নেমে গেছে ৪৩৪০ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। এ হিসাবে গত সপ্তাহে সূচক কমেছে ৬৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচক কমেছিল ৩৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ডিএস-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ দশমিক ০৮ পয়েন্ট কমেছে।
এ ছাড়া মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত কমেছে ০ দশমিক ০৩ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে পিই ছিল ১৪ দশমিক ৫১। সপ্তাহের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫০-এ। বাজার মূলধন অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসিইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা অপরিবর্তিত রয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ইস্যুগুলোর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে মবিল যমুনা। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির ১০৭ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশই হয়েছে এ কোম্পানির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসিআই লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৪২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা যা, সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ৫৬ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- যমুনা অয়েল, ডরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইবনে সিনা, আমান ফিড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।