পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। তবে তার আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করতে হবে বলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইভিএম কেনা সংক্রান্ত প্রকল্পটি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সে ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামীমা নার্গিস, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মফিজুল ইসলামসহ অন্যরা।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে তিন হাজার ৮২১ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ‘ইভিএম ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ সংক্রান্ত প্রকল্পের ওপর মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (ভারপ্রাপ্ত সচিব) দিলোয়ার বখত এর সভাপতিত্বে বৈঠকে অর্থ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পরিকল্পনামন্ত্রীর সুপারিশক্রমে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো যেতে পারে। এই প্রকল্পের আওতায় দেড় লাখ ইভিএম কেনা হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল, এই প্রকল্পে এখনো সম্ভ্যাবতা যাচাই করা হয়নি। ২৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে কোনো প্রকল্পে সম্ভ্যাবতা যাচাই ছাড়া অনুমোদন দেওয়া যায় কি না। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে সমীক্ষা লাগবে না। কারণ ইতিমধ্যে আমরা ইভিএম ব্যবহার শুরু করেছি। আমরা বরিশাল, খুলনায় ইভিএম ব্যবহার করেছি। কিন্তু সেখানে কোনো অভিযোগ পাইনি’। ইভিএম নিয়ে কেন এত তাড়াহুড়া করা হচ্ছে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে ইভিএম ব্যবহার করব না। ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করবো। আমরা তাড়াহুড়া করছি না’।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোথাও বলে ইভিএম ব্যবহার ভালো আবার কোথাও বলে ইভিএম ব্যবহার খারাপ। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে পারলে আমরা কেন করব না। কোনো না কোনো সময়ে ইভিএম তো ব্যবহার করতে হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে সবার ধারণা আছে কি না সেটিও দেখতে হবে। ইভিএম যারা ব্যবহার করবেন, তারা সন্তুষ্ট কি না তাদের বিষয়টিও ভাবতে হবে। আমার বক্তব্য হলো, ধীরে ধীরে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। পরীক্ষামূলকভাকে কয়েকটি স্থানে। সবখানে নয়। তবে আসছে নির্বাচনে ইভিএম থাকবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। আমরা শুধু প্রকল্প অনুমোদন করে দেব।
ইভিএম নিয়ে গত এক মাস ধরে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে এর বিরোধিতা করে আসছে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। ইভিএম ব্যবহারে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিদিনই বক্তব্য আসছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ সেপ্টেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘আমি ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে। তবে তাড়াহুড়া করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না’।
এই প্রকল্পের আওতায় ইভিএম কি পদ্ধতিতে কোন দেশ থেকে কেনা হবে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের পর ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে যাবে প্রস্তাবটি। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কেনা হবে ইভিএম।
এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ইভিএম কেনা সংক্রান্ত প্রকল্পটি একনেক সভায় পাশ হলেও প্রক্রিয়াগত কারণে নির্বাচনের আগে সব ইভিএম আমদানি সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, একনেকে প্রকল্পটি পাশ হওয়ার পর সরকারি আদেশ (জিও) হতে সময় লাগবে। তারপর প্রস্তাবটি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে যাবে। দেড় লাখ ইভিএম তৈরি করতে সময় লাগবে। তারপর আমদানি করতে হবে। এসব প্রক্রিয়া করতে করতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা কঠিন হবে বলে মনে করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।