পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার ওবামার পরামর্শকে ব্রিটিশ নাগরিকরা ভালোভাবে নিচ্ছে না। তারা এজন্য ওবামার উপর বিরক্ত। ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে ওবামার মন্তব্যকে অনেক ব্রিটিশ নাগরিক তাদের অভ্যন্তরীণই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। ওবামাকে নিজের চরকায় তেল দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে অনেকে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ব্রিটেনের সবাই যে ওবামার এই সফরকে স্বাগত জানাচ্ছে না এসব মন্তব্য তারই প্রতিফলন।
ওবামা বর্তমানে লন্ডন সফরে রয়েছেন। এই সফরে নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে ওবামা যুক্তি দেখান যে, ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার বদলে ব্রিটেনের উচিত সেখানে থেকে যাওয়া। তিনি বলেন, ব্রিটিশ নাগরিকদের উচিত ইইউ’তে থাকার পক্ষে ভোট দেওয়া। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি না সেই ইস্যুতে ব্রিটেনে জাতীয়ভিত্তিতে ভোট হবে ২৩ জুন।
অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ওবামার এই পরামর্শের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এটাকে একান্তই ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে দেখছে যাতে বাইরের কারো পরামর্শের প্রয়োজন নেই। লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন দ্য সান পত্রিকায় নিজের লিখিত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ওবামা একজন ভ- কারণ ওয়াশিংটন কখনো ইইউ’র রাজধানী হিসেবে পরিচিত ব্রাসেলস’র কাছে অতিরিক্ত ক্ষমতা ন্যস্ত করবে না। তিনি ওবামার মন্তব্য নিয়ে এতই ক্ষুব্ধ যে তার কেনীয় পূর্বপুরুষের দিকে ইঙ্গিত করেন যিনি ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যকে অপছন্দ করতেন।
ওবামার পরামর্শ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ঝড় বইছে। একজন নিজেকে ডেসাইলি’স চাইল্ড হিসেবে পরিচয় দিয়ে মন্তব্য করেন যে ব্রিটেনের ইইউ ইস্যুতে ওবামার উচিত নিজের কথার লাগাম টেনে ধরা। আরেকজন পরিহাস করে মন্তব্য করেন, তবে কী আমেরিকা আবার ব্রিটেনের অংশ হয়ে গেল?
ওবামার বক্তৃতা দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এতে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনকে রক্ষা করতে গিয়ে যে আমেরিকান সৈন্যরা প্রাণ হারিয়েছে তাদের স্মরণ করেন এবং যুক্তি দেন যে ইইউ ইস্যুতে ব্রিটিশ সিদ্ধান্ত অবশিষ্ট বিশ্বকে প্রভাবিত করবে। তিনি বলেন, ইইউ’র সদস্য থাকার মাধ্যমে ব্রিটেন তার অনুজ্জ্বল বৈশ্বিক প্রভাব ফের উজ্জ্বল করতে পারবে।
তবে সবাই ওবামার উপর ক্ষিপ্ত নয়। লন্ডনে সিএনএন অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এতে অনেকে সাধারণভাবে বলছে যে, প্রেসিডেন্ট তার নিজের অভিমত ব্যক্ত করতেই পারেন। এতে দোষের কিছু নেই।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, প্রেসিডেন্টের এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি বরং তার উচিত নিজেদের সমস্যা সামাল দেওয়া এবং আমরা আমাদের বিষয় সামলাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।