পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ায় নবজাতককে হাসপাতালে রেখেই চম্পট দিয়েছে তার মা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২০৫ নম্বর শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের ২ নম্বর বিছানায় (পর্যবেক্ষণ) ফুটফুটে এ নবজাতক কন্যার অভিভাবক এখন সেখানকার ডাক্তার, নার্স এমনকি চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনরা। সবার নয়নের মণি সাত দিন বয়সী ওই নবজাতক। কাজের ফাঁকে, অবসরে সময় বের করে সবাই তাকে আদর করছে। খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল ঢামেক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফুটফুটে শিশুটির জন্ম হয়। কিন্তু জন্ম হয় তার কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে। এই সাত দিনের মধ্যে শিশুটির শরীরে একটি অস্ত্রোপচারও করা হয়। সন্তান জন্মের শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট শিশুটির বাবা-মা। শিশুটির মা ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনরা বলেন, ছেলে হলেই ভালো হতো। এবারও কন্যাসন্তান। আমার স্বামী আমাকে তালাক দেবে। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার ২ দিন পরেই লাপাত্তা তার বাবা-মা। ওয়ার্ড বয় ওসমান জানান, কন্যাসন্তান হওয়ায় শিশুটির বাবা-মা তাকে ফেলে গেছে। অন্যান্য রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এমনটাই জানতে পেরেছি। শিশুটির ভর্তি ফাইলে অভিভাবকের নাম লেখা রয়েছে মনির। একই ওয়ার্ডের ২৫ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন হামিম (৭)। তার মা হেনা বেগম জানান, শিশুটির মায়ের বয়স ১৭ বছর হবে, তার স্বামীর বয়সও ২০ বছরের বেশি হবে না। হেনা আরও বলেন, শিশুটিকে দেখতে ওর বাবা এসেছিল। কোলে নিয়ে আদর করে গেছে। কিন্তু গত চার দিন থেকে কেউ আসছে না। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ডা. ফাতেমা সাঈদ বলেন, শিশুটি কিছুটা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মেছিল। ওর পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখনও কেবল স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। মুখে কোনো খাবার দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নেই রয়েছে শিশুটি। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খাজা আবদুল গফুর বলেন, চার দিন যাবৎ শিশুটির বাবা-মা কেউ আসেননি আমিও শুনেছি। শিশুটিকে তারা ফেলে গেছে এখনই এমন বলা যাবে না। এখন শিশুটির সুস্থতাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
ঢামেকের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। নবজাতকটিকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়া নবজাতকের যতেœর ব্যাপারে কোনো অবহেলা করা হবে না বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।