পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে একমত হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এই জোট গঠন করতে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোটের নেতারা। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকে তারা এ বিষয়ে সম্মত হন।
বৈঠক শেষে রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশ, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের বিষয়ে সম্মত ২০ দল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাহমুদ চৌধুরী।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘২০ দল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের যে কথা বলেছেন তাতেও সমর্থন জানিয়েছে ২০ দল।’
তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জোর দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বৈঠকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দেওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করা হয়। খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করা হয়, এছাড়া তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক কমীর মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানানো হয়।
বৈঠক শেষে ২০ দলের শরিক দলের এক নেতা বলেন, আমাদের আজকের বৈঠকের ম‚ল আলোচনা ছিল চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাঁর সুচিকিৎসা ও আগামী সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি আদায়ে যেকোনো ম‚ল্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন।’
২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক দলের এক সভাপতি বলেন, জোটের আলোচনার ম‚ল বিষয় ছিল বৃহত্তর ঐক্য। যেকোনো ম‚ল্যে জাতীয় ঐক্য গঠনে ২০ দলীয় জোট সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া জোটের ঐক্য ধরে রাখার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০ দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচ এম কামরুজ্জামান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তাজা, জাগপার ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস, বাংলাদেশ ন্যাপ এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভ‚ইয়া, ন‚র হোসেন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুর রকিব, পিপলস লীগের সভাপতি গরিবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার সাঈদুল হাসান ইকবাল, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমদ, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডেমোক্রটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।