পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নিরপেক্ষতার নামে যারা খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদের সঙ্গে কোন ধরনের আপোষ হতে পারে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মোহাম্ম্দ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জাতীয় চার নেতার খুনি, ৭১’র ঘাতক, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের যারা আশ্রয় দেয় এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে যারা অপহরণের ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে কোন আপোষ হতে পারে না।
স্থানীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনকে আরও কঠোর হবার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করা দরকার তাই করবেন। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। বর্তমান সরকারের অধীনে সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে এবং হবে। সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ আছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দল একটি আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত। জঙ্গিবাদ মোকাবেলার ক্ষেত্রে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। আদর্শের ক্ষেত্রে আমাদের কারও সঙ্গে কোন আপোস নেই।
রাশেদ খান মেনন বলেন, মুজিব নগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন।
দেশে গণতন্ত্রের কোনো সংকট নেই উল্লেখ করে মেনন বলেন, বিএনপি-জামায়াত ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে ধরনের অপরাধ করেছিল, এখনও সেই অপরাধ করে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের আমলে রাষ্ট্রীয়ভাবে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতার যে পৃষ্টপোষকতা দেয়া হতো তা দূর হয়েছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে অপরাধীদের জায়গা করে দেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তি ও মহিমান্বিত করার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন করেন। বেগম খালেদা জিয়াও খুনিদের রক্ষার অপসংস্কৃতি অব্যাহত রাখেন এবং আগুন সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দেন। রাজাকার ও জঙ্গীবাদের পাহাড়াদার খালেদা জিয়া। তাই বিএনপি ও জামায়াত কোন দিন মুজিবনগর দিবস পালন করেনি।
‘গণতন্ত্রে অপরাধীদের জায়গা নেই’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রকে কলংকমুক্ত করার যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে তা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের অপসংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্তি দেবে। কারণ, যতদিন অপরাধীদের দায়মুক্তির অপচর্চা থাকবে, ততদিন অবিচার-সন্ত্রাস চলতে থাকবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।