পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল ইসলাম : মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পেশায় কর্মী নিয়োগের প্রায় ২০ হাজার প্রফেশনাল কলিং ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পথে। মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির দরুণ এসব প্রফেশনাল কলিং ভিসা নিয়ে বিপাকে পড়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি’র অফিসে এসব প্রফেশনাল কলিং ভিসার কর্মীদের পাসপোর্ট আটকা পড়ে রয়েছে। এতে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুকর্মীরা চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় এসব প্রফেশনাল ভিসার কর্মীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে না। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই এসব প্রফেশনাল ভিসা মালয়েশিয়া থেকে ইস্যু করা হয়েছিল। গত ১ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ১শ’ ৩৬ জন কর্মী প্রফেশনাল কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় গেছে। প্রফেশনাল কলিং ভিসা ইস্যু কবে নাগাদ চালু হবে তা’ জানার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাচ্ছে না। বিদেশী কর্মী নিয়োগ বন্ধ থাকায় দেশটি’র অধিকাংশ শিল্প-কারখানায় কর্মী সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা চরম হতাশায় ভুগছেন। কর্মী সংকটের দরুণ মালয়েশিয়ার অনেক শিল্প কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ার নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি দেশটিতে অবৈধ বিদেশী কর্মীর ব্যাপকহারে ধরপাকড় চলছে। এতে মালয়েশিয়ায় কর্মরত অধিকাংশ বাংলাদেশী কর্মী সারাক্ষণ গ্রেফতার আতংকে ভুগছে। কতিপয় ট্রাভেলস এজেন্ট হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের এক শ্রেণীর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে ট্যুরিস্ট ভিসায় উঠতি বয়সের যুবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রায় প্রতিদিনই তাদের মালয়েশিয়ায় পাঠাচ্ছে। কুয়ালালামপুর বিমান বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ এদের অনেককেই ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছে। এতে এসব যুবকরা প্রতারিত হয়ে পথে বসছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী এতথ্য জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে প্রফেশনাল কলিং ভিসায় কর্মী নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। রিক্রুটিং এজেন্সি ইয়াম্বু ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসাইন সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে ইনকিলাবকে এতথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ-এর দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের পর ১৫ বাংলাদেশী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ঘোষণাটি মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল কুয়ালালামপুরস্থ হোটেল ক্যাপিটলে মালয়েশিয়ার একটি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ থেকে দক্ষ-আধাদক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার প্রফেশনাল কলিং ভিসা বন্ধ থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বৈঠকে মালয়েশিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দাতিন শ্রী নূরছিয়া আব্দুল্লাহ, পূর্ব মালয়েশিয়ার লাবুয়ান সী-পোর্ট-এর ম্যানেজার মিঃ জাইদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পিএস এবং এ বিএম ট্রাভেলস এসডিএন বিএইচ ডি’র স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট এয়ার-এর জিএস এ বাদেলুর রহমান ও ইয়াম্বু ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মো দেলোয়ার হোসাইন। প্রফেশনাল কলিং ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকায় মালয়েশিয়ার সাবেক এমপি দাতো সোহাইলের সোফিল্ড এসডিএন বিএইচডি’র প্রায় ১শ’ ৫০ জন বাংলাদেশী কর্মীর প্রফেশনাল কলিং ভিসা আটকা পড়েছে। ইয়াম্বু ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর ১শ’১২টি প্রফেশনাল কলিং ভিসা, সেতু এয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২শ’ ৫০টি প্রফেশনাল কলিং ভিসা, বনানীর আবুল কালামের ৫০টি প্রফেশনাল কলিং ভিসা আটকা পড়েছে। এসব কলিং ভিসা আনতে ৬/৭ হাজার রিংগিট ব্যয় হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু প্রফেশনাল কলিং ভিসার কর্মীরা প্রতি দিন বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি’র অফিসে ধরর্ণা দিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। ভিটেমাটি বিক্রি ও ঋণ করে এসব কর্মীরা কবে নাগাদ মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবে তা’ এখনো নিশ্চিত নয়। ২০০৯ সালে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ওপর কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ঐ সময়ে প্রায় ৫০ হাজার কলিং ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এতে বাংলাদেশী কর্মী ও রিক্রটিং এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী পূর্ব মালয়েশিয়ার সারওর্য়াকে সেনা বাহিনীর সাথে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশসহ অন্যান্য সোর্স কান্ট্রি থেকে অভিবাসী কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নেয়ার বিষয়ে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাত্র একদিনের মাথায় এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দিয়েছেন দেশটি’র উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমদ জাহিদ হামিদি। মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা এমন সময়ে দেয়া হয়েছে যখন বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন করে কর্মী নেয়ার ব্যাপারে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করায় বাংলাদেশী কর্মী ও রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিকদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ঐ সময়ে বলেন, শিল্প মালিকদের স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। আর অবৈধ বিদেশি কর্মীদের আটক করা হবে এবং নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি আশা করেন, মালয়েশিয়া বিশেষত, দেশটির তরুণরা সরকারের সিদ্ধান্তে সাড়া দেবেন এবং বিদেশিদের কাছে থাকা কাজগুলোতে নিজেরা অংশ নিয়ে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।
এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম পাঁচবছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার লক্ষ্যে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারকে সই করেন। যদিও মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী জনশক্তি আমদানীর উপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা জনশক্তি আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত জিটুজি প্লাস চুক্তিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের মার্চ মাস থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। বহু কূটনৈতিক তৎপরতার পর ২০১২ সালে মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের জিটুজি প্রক্রিয়ায় শুধু প্লানটেশন খাতে সরকারী উদ্যোগে কর্মী যাওয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের জন্য ডাক-ঢোল পিটিয়ে দু’দফায় সারা দেশ থেকে প্রায় ২২ লাখ কর্মীর নিবন্ধন করা হয়েছিল। কিন্ত জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কর্মী জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া গেছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দেশটিতে সকল অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণের ঘোষণা দিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ কর্মীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে নথিবদ্ধ করেই এবারের নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে। অবৈধ কর্মীদের বৈধতা পাওয়ার সুযোগ ও মালয়েশিয়ার কর্মী চাহিদা মেটানোর কথা মাথায় রেখেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। তবে এ সুযোগের আওতাধীনদের বিশেষ কিছু শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে।
বিদেশি কর্মী নেয়া বন্ধ থাকায় কর্মী সঙ্কটে পড়েছে মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা। কর্মীর অভাবে কারখানা মালিকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য হস্তান্তর করতে পারছে না। যা দেশটির মন্দা অর্থনীতিকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি দৈনিক পত্রিকায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানাগুলোর ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারস (এফএমএম) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির জরিপে বলা হয়, দেশটির প্রায় ৮৪ শতাংশ শিল্প কারাখানায় শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। আর এ নিয়ে কারখানার মালিকদের মধ্যেও রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। কারণ তারা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য হস্তান্তর করতে পারছে না। এ অবস্থায় পেনাং এর মুক্ত ব্যবসায়িক অঞ্চলের সংগঠন ফ্রিপেনাকো মালয়েশিয়াতে তাদের বিনিয়োগ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। কর্মী বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে তারা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা ভাবছেন বলেও জানান সংগঠনটির নেতারা। উল্লেখ্য, ফ্রিপেনাকো কোম্পানির অধীনে ৭০টি বৃহৎ কোম্পানি রয়েছে যার মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর অংশীদারিত্ব আছে। এদিকে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফেকচার্স মনে করে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক বাজার হারাবে মালয়েশিয়া। যা দেশটির চলমান মন্দা অর্থনীতিকে আরও বেশি নাজুক অবস্থায় ফেলে দেবে।
দাতু সৈয়দ মোহাম্মদ ইজহার নামে এক টেক্সাইল কোম্পানির মালিক বলেন, ‘আমার কোম্পানির জন্য ১৩৫ জন কর্মী প্রয়োজন হলেও আমি সে পরিমাণ কর্মী পাচ্ছি না। বহু কষ্টে ২০ জনকে সংগ্রহ করেছি।’ এদিকে চায়না ও মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ীদের সংগঠন চায়নিজ চেম্বারস অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অব মালয়েশিয়া (এসিসিসিআইএম) এর সাধারণ সম্পাদক দাতু লো কিয়ান চিয়ান বলেন, কর্মীর অভাবে বিশেষ করে ফার্নিচার কারখানাসহ অন্যান্য কারাখানাগুলোর উৎপাদন কমে এসেছে। কোম্পানিগুলো নতুন করে অর্ডার নিতে ভয় পাচ্ছে।’ এ জন্য গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বৈধকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মি. চিয়ান। অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন মালয় বিজনেসম্যান এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট দাতু সোহাইমি শাহদান। অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সরকারকে শুধু কর্মী আনা বন্ধ রেখে চুপ থাকলেই হবে না বরং বিদেশি কর্মী নিয়ে তারা বিকল্প কি ভাবছেন তার সদুত্তর দিতে হবে।’ একই ইস্যুতে এতদিন নিশ্চুপ থাকলেও এখন কথা বলা শুরু করেছেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সংগঠনটির সভাপতি বলেন, দীর্ঘ দু’মাস ধরে কর্মী আনা বন্ধ থাকায় বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরা কর্মী সঙ্কটে ভুগছে। সরকার খুব দ্রুত এর সমাধান করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বায়রার ইসি’র সদস্য নূরুল আমিন গতকাল ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রফেশনাল কলিং ভিসা বন্ধ থাকায় গভীর উদ্বেগ করে বলেন, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনেই বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য প্রফেশনাল কলিং ভিসা কর্মীদের নামে নামে পাঠানো হয়েছে। প্রফেশনাল কলিং ভিসা বন্ধের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এটা একজন বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীর অধিকার। এক দিনেই একটি প্রফেশনাল কলিং ভিসা আসেনি। র্দীঘ দিন প্রক্রিয়ার পরেই একটি কলিং ভিসা আসে। এক প্রশ্নের জবাবে বায়রা নেতা নূরুল আমিন বলেন, বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রফেশনাল কলিং ভিসা ঘুর পাক খাচ্ছে। তিনি ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাই কমিশন কর্তৃপক্ষকে প্রফেশনাল কলিং ভিসা ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।