পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া অফিস : সম্প্রতি অতি গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বিক্রি হওয়া ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার নবাব প্যালেস রক্ষার জন্য স্থানীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে ওঠার পাশাপাশি নবাব পরিবারের সদস্যরাও তৎপর হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।
তৎপরতার অংশ হিসেবে সম্প্রতি জাতীয় জাগরন আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। স্মারকলিপি গ্রহণের সময় জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন জানান, ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার নবাব প্যালেস রক্ষায় সরকারি দিকনির্দেশনার আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি তার অফিসে রক্ষিত রেকর্ড দেখে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসেই সাংস্কৃতিকি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুয়ায়ী এই প্যালেস সম্পর্কে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই প্যালেসটি বিক্রির খবর অস্বস্তিকর এবং অবিশ্বাস্য। এই প্যালেস বিক্রির বিষয়টি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কেন জেলা রেজিস্ট্রার প্রশাসনকে না জানিয়ে গোপনে কমিশন বসিয়ে কেনাবেচায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কার্যত সহায়তা করলো তারা সেটা খতিয়ে দেখবেন।
এছাড়াও বগুড়ার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কিংবা অন্য কোন ব্যানারে বৃহত্তর পরিসরে আন্দোলন গড়ে তোলা যায় কিনা সে ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক সভা হয়েছে। সভাগুলোতে সাংবাদিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বাম ঘরানার রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ এবং আন্দোলনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, রাজধাানী ঢাাকায় বসবাসকারী বগুড়ার বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ বৃহত্তর বগুড়া সমিতির ব্যানারে আন্দোলন পরিচালনার চেষ্টা করছে।
অন্য দিকে বগুড়ার নবাব পরিবারের ঢাকায় বসবাসকারী একাধিক সদস্য জাানিয়েছেন, তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে সৈয়দ হাম্মাদ আলী এই বিক্রির দলিলে স্বাক্ষর করেছেন? তাদের ধারনা কাউকে ভুয়া সৈয়দ হাম্মাদ আলী সাজিয়ে বিক্রির দলিলে স্বাক্ষর করার কাজটি সম্পন্ন করতেই গোপনে কমিশন বসানোা হয়। যারা এই প্যালেসটি ক্রয় করেছেন তাদের প্রত্যেকটি কর্মকা- কেনা বেচা বিদেশ গমন বিদেশের হোটেলে অবস্থানের ছবিগুলো তাদের নিজ নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পেস্ট করলেও নবাব প্যালেস ক্রয় করার মতো একটি স্মরণীয় ঘটনার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট না করাটা বিস্ময়কর। কারণ এই ছবি ফেসবুকে দিলেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সব গোমর ফাঁস হয়ে যাবে।
ইতোমধ্যেই ঐতিহাসিক এই নবাব প্যালেসটির অফিশিয়াল মোতওয়াল্লী সৈয়দ রায়হান হাসাান আলী বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীসহ আাইন মন্ত্রণালয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই বেআইনী বিক্রির বিষয়টির প্রতিকার চেয়েছেন। পাশাপাশি সৈয়দ রায়হান হাসান আলীর স্টেট ম্যানেজার মানিক শেখ বগুড়া জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে প্যালেস বিক্রির দলিলটি বাতিলের দাবীতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা রেজিস্ট্রার অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।