প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : হিজাব পরছেন শুনে খুশি হলাম। তবে বাইরে বেরুবার সময় বা পর পুরুষের সামনে নিজের পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। এ জন্যই শালীন ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা জরুরি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস অফিসে জরুরি হলে এসবের ভেতর দিয়েও ফরজ পর্দা সেরে নেয়ার চেষ্টা করবেন। মাথা এবং বুক যেন যে কোনো কাপড়ে ভালোভাবে ঢাকা থাকে। যার নির্দেশ পবিত্র কোরআনে দেয়া হয়েছে। নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে গোনাহর আশঙ্কা থেকেই যায়। এ জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবেন ও ত্রু টি থেকে থাকলে সংশোধন করে নেবেন। এমনিতে ঘরের ভেতর আপনি যখন শরিয়তসম্মত আপনজনদের মধ্যে থাকেন, তখন জিন্স, টি-শার্ট পরার সামান্য সুযোগ রয়েছে। যেমন- কামিজ-পাজামা, শাড়ি, মেক্সি, নাইটি আমাদের দেশের মেয়েরা ঘরে পরে থাকেন। অনেক আরব মেয়েরা ঘরে খুবই সংক্ষিপ্ত পোশাক পরে, কিন্তু যেখানে পর্দার হুকুম সেখানে তারা সারা শরীর খুব উত্তমরূপে ঢেকে বের হয়। বড় চাঁদর, গাউন, বোরকা, হিজাব ইত্যাদিতে তারা এতই আবৃত থাকে যে, তাদের পরনে জিন্স, টি-শার্ট বা অন্য কি আছে তা কারো বোঝার উপায় থাকে না। এখন আপনার জীবনশৈলীর সাথে আলোচনাটি মিলিয়ে দেখুন।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।