Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে অঘোষিত গণপরিবহন ধর্মঘট!

অভিযানের মুখে হাওয়া বাস-মিনিবাস-টেম্পু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

নগরীতে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গতকাল (বুধবার) দ্বিতীয় দিনের মতো দিনভর নগরীতে বাস-মিনিবাস, টেম্পুসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে কর্মস্থলে পৌঁছেছে। বেশি দুর্ভোগের শিকার হন নারী শ্রমিকরা। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পুলিশ ও বিআরটিএর অভিযানের মুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি। গতকাল নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নগরীর তিনটি স্পটে এবং বিআরটিএর উদ্যোগে দু’টি স্পটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
অভিযানের খবর পেয়ে সকাল থেকেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর ১২টি রুটে হাতেগোনা কিছু বাস চলেছে। দু’একটি রুটে টেম্পু চলাচল করলেও বন্ধ ছিল মিনিবাস, হিউম্যান হলার ও লেগুনা। এ সুযোগে অটোরিকশা ও রিক্সা ভাড়াও বাড়িয়ে দেয়া হয়। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে অবৈধ রিক্সা বিরোধী অভিযান চলছে। এ কারণে রিক্সার সংখ্যাও কমে গেছে। ফলে গণপরিবহন সঙ্কট চরম আকার ধারণ করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বন্ধ হলে সন্ধ্যার পর যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সঙ্কট থেকে যায়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে। অভিযানের কারণে গণপরিবহন চলাচল একেবারেই কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবহন মালিকেরা যতই কৌশল করুক অভিযান থামবে না। নগরবাসীর কিছুটা দুর্ভোগ হলেও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। গতকাল তৃতীয় দিনের মতো ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে বিআরটিএর দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দু’টি আদালতে ৮৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আটক করা হয়েছে ১১টি যানবাহন। এক লাখ ৫৩ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় দু’টি আদালতে। বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানান, আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, মহানগরীর জনসংখ্যা ৬০ লাখ। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য গণপরিবহন রয়েছে মাত্র চার হাজার। এসব পরিবহনের ৮০ শতাংশের নেই বৈধ কাগজপত্র ও ফিটনেস সনদ। আর তাই অভিযান শুরু হলেই সড়ক থেকে হাওয়া হয়ে যায় এসব যানবাহন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবহন ধর্মঘট!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ