Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হুইল চেয়ারে করে আদালতে খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ২:৩২ পিএম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিশেষ আদালত আজ বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার পরিবর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেখানে বন্দি, সেই পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেছে।

আজ বুধবার শুনানি শেষে আদালত ১২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন রেখেছেন। সে সময় পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বহাল থাকবে।

দেশে প্রথমবারের মতো কারা অভ্যন্তরে স্থাপিত এই আদালতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আজ শুনানিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বক্তব্য দেন। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক হিসেবে ঢাকা জেলা বারের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বক্তব্য দেন।

৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান আদালতে প্রবেশ করেন বেলা ১১টা ৭ মিনিটে। তার আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আইনজীবী ও সাংবাদিকরা প্রবেশ করেন। দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে খালেদা জিয়াকে একটি হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয়। আদালত চলে আধা ঘণ্টারও কম সময়।

আদালতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি জানি, এখানে ন্যায়বিচার পাব না। আপনাদের যা খুশি রায় দিতে পারেন। আমার খুবই শরীর অসুস্থ, আমার হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। আমি বার বার আসতে পারব না। আপনার যত দিন ইচ্ছা সাজা দিন।’

শুনানি শেষে আদালত আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন রেখেছেন।

আদালতে কারাগার বসানো উপলক্ষে সকাল থেকে কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। কারাগারের সামনের সড়কে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সকালে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। কারাগারের ফটকের সামনে নিরাপত্তা অন্যান্য দিনের চেয়ে আরো জোরদার করা হয়েছে। গলির মুখে মুখেও রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার দোকানপাট।

সকাল থেকে কারাগারের সামনে অবস্থান নেন গণমাধ্যমকর্মী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি।



 

Show all comments
  • nurul alam ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৩:৫২ পিএম says : 0
    ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করণের প্রানান্তর চেষ্টা সফল হবে কী ? স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র উদ্ধার করে তিন তিন বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে নেত্রীর এ হাল ! জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তলা বিহীন আর চোরের খনির দেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন এবং কার্যত সফলও হয়েছিলেন । তাঁর কর্মসুচী বাস্তবায়নের উত্তরসুরী তাঁরই সহধর্মীনিকে গায়ের জোরে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়ার পাঁয়তারা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা । ঐ পতিত স্বৈরাচার এবং তিনি আজ মাসতুতো ভাই । কী সুন্দর আলাপচারিতা ! কী সুন্দর পরিকল্পনা ! লাঞ্চিত আর উপেক্ষিত জনতা । রাত নেই দিন নেই যখন তখন যাকে তাকে গ্রেফতার, নির্যাতন । এটার নামই কি গণতন্ত্র ? না, এ দু:শানের জন্য খালেদা জিয়া সে দিন স্বৈরাচারের পতন ঘটাননি । ভোট বিহীন নির্বাচনের জন্য ঘাম ঝরাননি । ......................................................সুর্য ওঠার আর কতদেরী ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ