Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার আদালত বসবে কারাগারে

খালেদা জিয়ার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার এবার অনুষ্ঠিত হবে পুরাতন কেন্দ্রীয় করাগারে। মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়া অপর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই কারাগারে বন্দী রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার আদালত স্থানান্তর সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম। ফলে এখন থেকে কারাগারের প্রশাসনিক কক্ষের অস্থায়ী আদালতেই তার বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। নিরাপত্তার কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় ।
এর আগে দুদকের আইনজীবী বলেছিলেন, জিয়া চ্যরিটেবল মামলাটির বিচার কারাগারে করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বিএনপি‘র আইনজীবীরা। তারা বলছেন, কারাগার কখনো প্রকাশ্য আদালত বলে বিবেচিত হতে পারে না। এটি হলে তা হবে আইনের পরিপন্থী। এই মামলায় শুনানির দিন ধার্য রয়েছে আজ বুধবার। তার আগের দিন এজলাস স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন এল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থ দন্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি পুরান ঢাকার আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
জিয়া চ্যারিটেবল এই মামলায় বুধবার আদালতে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। তার আগের দিন এজলাস স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন এল। এতে বলা হয়, বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে। সেজন্য নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশেষ জজ আদালত-৫ নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এর প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হল। বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন বিশেষ মামলা নং ১৮/২০১৭ এর বিচার কার্যক্রম পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নং ৭ এর অস্থায়ী আদালতে অনুষ্ঠিত হইবে।
এর আগে গতকাল দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার মামলাটা গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মাস হয়ে গেল কোনো কার্যক্রম করতে পারছি না। জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়া উপস্থিত হচ্ছেন না। এ কারণে আমরা বলেছি, খালেদা জিয়া যেখানে আছেন সেখানেই আদালত বসানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ কি না, তা আমি জানি না। যে রেকর্ড আছে সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ, তা উল্লেখ নেই। আমরা জানি তিনি আসার জন্য অনুপযুক্ত ছিলেন। যেদিন মামলার শুনানির তারিখ ছিল সেদিন ডাক্তার লিখেছিলেন, তিনি ওই দিন চলাচলে অনুপযুক্ত। তিনি আরো বলেন, এটা প্রকাশ্য আদালত। জনগণ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে, তাঁর আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানমতে এ আদালত হচ্ছে।
কারাগারের ভেতর বিচার অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, সরকার তো যা খুশি তাই করছে। এটা করা ঠিক হবে না। এটা করা উচিৎ হবে না। কারাগারের ভেতর আদালত করা আইনের পরিপন্থী, এটা হতে পারে না। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেন, কারাগার কখনো প্রকাশ্য আদালত বলে বিবেচিত হতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী বিচার হতে হবে প্রকাশ্য আদালতে। এই আইনজীবী বলেন, তাঁর জানামতে বাংলাদেশে সামরিক আইনে কারাগারের ভেতর কর্নেল তাহেরের বিচার হয়েছিল। আর পাকিস্তান আমলে একজন রাজনীতিকের মামলার বিচার কারাগারের ভেতরের আদালতে হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ