পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০০৪ সালের ২১আগস্টের গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তারেক রহমানসহ হামলাকারীদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ দাবী জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা সবসময় জানতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের উপর ঝুকি রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কোন সমাবেশ হলেই দলের নেতাকর্মীরা ভবনের উপর পাহারায় থাকতো। কিন্তু সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের দলের কোন নেতাকর্মীকে ভবনের ছাদে উঠতে দেয়নি। এবং গ্রেনেড হামলার পরপর আহতদের সাহায্যার্থে যখন আমাদের দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন এগিয়ে আসে তাদেরও লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পানি দিয়ে রাস্তার উপর থাকা রক্ত ধুয়ে মুছে আলামত নষ্ট করা হয় এবং সেদিন যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল তাদের সাসপেন্ড তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।
তিনি বলেন, এমনকি এই গ্রেনেড সরকার ব্যতীত অন্য কারো কাছে থাকার কথা নয়। কারণ এই গ্রেনেড যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এমনকি যেই গ্রেনেড সেখানে বিস্ফারণ করা হয়েছিল সেই গ্রেনেড কারাগারের মধ্যেও পাওয়া গিয়েছিল। কারাগারের মধ্যে গ্রেনেড গেলো কিভাবে? সুতরাং আমি গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তারেক রহমানসহ যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দাবী করছি। বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি এ দায় এড়াতে পারেন না তাই তাকেও বিচার ও শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা কোটা আন্দোলনকারীদের ঘাঁড়ে চড়ার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে। এরপর বিএনপি ও ছাত্রদলের ২৫/৩০ বছরের যুবক ও মহিলাদের স্কুলের ড্রেস পড়িয়ে কোমলমতি বানিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ সমাবেশটাও সফল করতে না পেরে তাদের এখন মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই উনারা আবোল তাবোল বকছেন। প্রকৃতপক্ষে উনাদের আসল উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, উনাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে আবারও একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা।
আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সন্নিকটে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে এবং যেভাবে প্রত্যেকটা মানুষের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে তা যদি জনগনের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি তাহলে যাদের বিবেক, বুদ্ধি আর জ্ঞান আছে তারা নৌকা ব্যতীত অন্য কোথাও ভোট দিবেনা।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কায়সার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।