পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানে দুর্নীতির অভিযোগে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও একজন মেজর জেনারেলসহ অন্তত ৬ উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ।
এর আগে জেনারেল রাহিল বলেছিলেন, পাকিস্তানের সংহতি, অখ-তা এবং অগ্রগতির জন্য বৃহত্তর জবাবদিহিতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেছিলেন, দুর্নীতিকে উৎখাত করা না গেলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া যাবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভ করতে হলে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। জেনারেল রাহিল শরীফ এমন মন্তব্য করার দু’দিন পর সেনাবাহিনীতে এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেয়া হলো।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলেও এখনো এ বিষয়টি সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
পানামা পেপারসে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছেলে- মেয়েদের নাম প্রকাশের ঘটনা নিয়ে যখন দেশটিতে তোলপাড় চলছে তখন বৃহত্তর জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়ে এ বক্তব্য দেন জেনারেল রাহিল। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নিজে যখন বৈধতার সংকটের মুখে ঠিক এই সময়ে সেনাবাহিনীর ভেতরকার এই নজিরবিহীন পদক্ষেপের খবরটি প্রকাশ করা হলো।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই সময়ে জেনারেল শরীফ এমন মন্তব্য করেছেন এবং সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার এই সময়টি বেছে নিয়েছেন। অবশ্য এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
যদিও সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে জবাবদিহিতা একটি চলমান প্রক্রিয়া তবে বাহিনীর মনোবলের কারণ দেখিয়ে বিষয়টি প্রায়ই গোপন রাখা হয়। তবে এবারে মনে হচ্ছে বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বরখাস্তের খবর প্রকাশের সময়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটা যেমন প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বৃদ্ধি করবে তেমনি এটা এক ধরনের নীরব পরিবর্তন হলেও সেনাবাহিনীর ভেতরেও যে দুর্নীতি ক্রমবর্ধমান তারই রেফারেন্স। তাদের মতে, দৃশ্যত যা দেখা যাচ্ছে তারচেয়ে এর তাৎপর্য আরো অনেক ব্যাপক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সরবরাহ, সীমান্ত এলাকায় পোস্টিং ইত্যাদি নিয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ থাকলেও বাইরে থেকে দেখে সবকিছু স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। বিভিন্ন সময়ে অডিটবিহীন তহবিলের অর্থ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সামরিক সংস্থাগুলো প্রায়ই এসব খবরের সত্যতা অস্বীকার করে থাকে। কিন্তু এবার নজিরবিহীনভাবে দুর্নীতির অভিযোগে শীর্ষস্থানীয় সেনাকর্মকর্তাদের বরখাস্তের কথা প্রকাশ করা হলো। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।