পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ২১ এপ্রিল। এক বছর আগে এ দিনটিতে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার এলাকায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখায় দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ ও দুর্ধর্ষ ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিন ডাকাত সদস্যদের তা-বে ব্যাংক কর্মকর্তা-স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে এক ডাকাত সদস্যসহ ৮ জন নিহত হয়। সেদিনের পর থেকে এখনো কাটেনি আতঙ্ক। ভয়াবহ স্মৃতি আজো ভুলতে পারেনি ওই বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ উপলক্ষে বাদ আসর ব্যাংকের পাশের মসজিদে নিহতদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহম্মেদ জানান, কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির এক বছর পূর্ণ হলেও এখনো এখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। ডাকাতি হওয়ার পর থেকেই এই ব্যাংকটিতে এখন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। সেদিন ডাকাতের হামলায় নিহত আইয়ূব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম সুমন জানান, ব্যাংকে যখন ডাকাত হানা দেয় তখন মসজিদের মাইকে মাইকিং করে বলা হয় বাজারের মধ্যে ব্যাংকে ডাকাতি হচ্ছে। তখন আমি আর বাবা এক দৌড়ে ব্যাংকের কাছে যাই। তখন কয়েকজন ডাকাত ব্যাংকের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছিল। বাবা একটি বাঁশের মই দিয়ে ডাকাত সদস্যদের গতিরোধ করার চেষ্টা করলে ডাকাত সদস্যরা শর্টগান দিয়ে বাবাকে গুলি করে।
সুমন আরো জানান, ডাকাত সদস্যরা যখন বাবাকে গুলি করে, তখন আমি তাদের শর্টগানটি ধরে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় ছুরি দিয়ে বাবার বুকে জখম করে।
পরে বাবাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিন দিন পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সুমন বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের পরিবারে নেমে আসে আর্থিক অনটন। সে সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে একটা চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিলেও আজো তা বাস্তবায়ন হয়নি। যার ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের পরিবারকে।
কাঠগড়া বাজার ব্যবসায়ী উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনার এক বছর পার হলেও এখনো ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। ঘটনার পর থেকে পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বাড়তি নজরদারি লক্ষ করা যেত। কিন্তু সেই নজরদারি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র ২-৩ মাসের মধ্যেই সেই নজরদারি তুলে নেয়া হয়। তবে তিনি ওই বাজারে আবারো আগের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানান।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, শুধু কাঠগড়া নয়, পুরো আশুলিয়া থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।