পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একটি বিলের পানির উপরে ভাসছে গোলাপী ফুল আর ফুল। নাহ কেউই ফুলের চাষ করেনি। প্রাকৃতিকভাবেই বিলটি ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। অপরূপ এমন দৃশ্য দেখা যায় সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের লছিমপুর গ্রামের ওই বিলে। গোটা বিলে শুধু পদ্ম ফুল।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে চারদিক উঁচু করে মাটি দিয়ে ঘিরে মাঝখানে জমিতে লাগানো হয়েছে ফুলের গাছ। কিন্তু কাছে যাওয়ার পর চোখ সৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরে আসতে চায় না। এমন দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। স্থানীয়দের কাছে পদ্মকানন হিসেবে পরিচিত শতবর্ষী পদ্ম বিলকে আরও আকর্ষণীয় করতে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
কমল, পঙ্কজ বা পদ্ম। যাকে বলা হয়, পানির উপর ভাসমান ফুলের রাণী। শরৎ ঋতুরে শুরুতেই খন্ড খন্ড মেঘ ঘুরে বেড়ানো নীল আকাশের নিচে ছেয়ে গেছে হাজার হাজার গোলাপী পদ্ম। আর এই পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে লছিমপুর গ্রামের পদ্মকানন বিলে প্রতিদিন ভিড় করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। সাত একরের কিছুটা বেশি খাস জায়গায় শত বছর আগে থেকে প্রাকৃতিকভাবে ফুটে আসছে পদ্ম। পর্যটকদের কাছে এই বিলটি যেন আরও আকর্ষণীয় হয়, এজন্য পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসকের ভাষায়, পদ্মফুলের দেশ বাংলাদেশ। এখন আর এই ফুলের দেখা তেমন একটা মিলে না। কবির কবিতায় আর লেখকের গল্পেই আমরা পদ্মফুলের দেখা পাই। কিন্তু হাওর জনপদের বিশাল একটি সরকারি বিলে শতবছরেরও বেশী সময় ধরে এ ফুল ফুটে আসছে। আমি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর, গতবছর একটি প্রোগ্রামে বিলের পাড় দিয়ে যাই। তখন শত শত নয় হাজার হাজার ফুটন্ত পদ্ম আমাকে বিমোহিত করেছিলো।
তিনি বলেন, গাড়ি থেকে নেমে দুই চোখভরে দেখে ভাবছিলেন এ বিলটিকে যদি সরকারিভাবে প্রকল্প গ্রহণ করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়া যায়। আর সেটি করা হলে কবির ‘সেই সাত প্রহরের বিল, যেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভিমরুল খেলা করে’ সুনামগঞ্জেই সকলকে দেখানো সম্ভব। পদ্মবিলকে সরকারিভাবে বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। পদ্মকানন দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসবেন। তিনি বেসরকারিভাবে আবাসিক রির্সোট স্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য হচ্ছে, শুধু সরকারিভাবে চিন্তা করলে ভুল হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সহযোগিতায় সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রটি হতে পারে অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।