পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশনের এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে দেশবাসী মনে করে। ইভিএম এর ব্যাবহার আমরা মানি না। আরপিও সংশোধনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বলবো তা না হলে একদিন জনগণের আদালতে আপনাদের বিচার হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘তড়িঘড়ি করে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ এবং বিতর্কিত ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে নাগরিক শঙ্কা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, হঠাৎ করে আরপিও সংশোধন করা হচ্ছে। এটা কেনো করা হচ্ছে? এর পিছনে অবশ্য কোন হীনউদ্দেশ্য আছে। ইসি বলেছিলেন সব দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। তাহলে এখন কেনো কারো সঙ্গে কোন আলোচনা না করে এটা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। কোন দল আপনাকে মত দিয়েছেন এটা ব্যবহারে?
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন এই সরকার আবারো গায়ের জোরে করতে চায়। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যে, জনগণকে যদি সুযোগ দেয়া হয় তাদের ভোট দিতে তাহলে তাদের ভরাডুবি হবে এটা তাদের গোয়েন্দারা তথ্য দিচ্ছে এজন্য তারা একটার পর একটা কৌশল অবলম্বন করছে টিকে থাকার জন্য।
মোশাররফ হোসেন বলেন, তারা ভেবেছিলেন বেগম জিয়াকে ষড়যন্ত্র করে জেলে পুরে দিতে পারলে বিএনপি ভেঙে যাবে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বিএনপি আগামী নির্বাচন একটা অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।
সিটি নির্বাচন দিয়ে সরকার মানুষের আস্থা হারিয়েছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে এগুলো অত্যন্ত জরুরি। এ দেশের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিশু কিশোরেরা পর্যন্ত এই স্বৈরাচারী সরকারের প্রতি আস্থা স্থাপন করতে পারে না, তাহলে আমরা কিভাবে তাদের বিশ্বাস করতে পারি।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সেই বাধাকে উপেক্ষা করে জাতীয় ঐক্যের যে সূর্যোদয়ের আভাস গণমাধ্যমে দেখলাম তাতে আমরা আশাবাদী। আমরা বিশ্বাস করি দেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি হবে। সেখানে এক ছাতার নিজে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে এবং আওয়ামী লীগ যত ষড়যন্ত্র করুক জনগণ যখন রাস্তায় নামবে তখন কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না।
দেশকে বর্তমান সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে শতকরা ৮০ভাগ মানুষ প্রস্তুত এমন দাবি করে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি আশা করি জাতীয় ঐক্যের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটা আরো স¤প্রসারিত হবে। এদেশের গণতান্ত্রিক, শ্রেণী-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবো। আমরা মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।