Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাত কারখানার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করলো অ্যাকর্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ৯:০০ পিএম

সাত কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় বলে জানা যায়। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাকার্ড এ তধ্য জানিয়েছে। অ্যাকার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দুর্বলতা ও জোটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগে কারখানাগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
বাদ পড়া কারখানাগুলো হলো- চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর সুপার নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস। একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন অন্য পাঁচ পোশাক কারখানা হলো- গ্রিনল্যান্ড অ্যাপারেলস, ইপসিতা গার্মেন্টস, সুপার সিনথেটিক্স, সুপার থ্রেড ও ভিজুয়াল ইকো স্টাইল ওয়্যার। এ ছাড়া বাদ পড়া তালিকায় রয়েছে ঢাকার পল্লবীর এসবি নিটেক্স। এ নিয়ে অ্যাকর্ড থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১টি। অপর ক্রেতা জোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটিও একই অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫৭টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দুই জোট থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা এখন দাঁড়ালো ৩০৮টিতে। এসব কারখানা দুই জোটের কোনো ক্রেতার রফতানি আদেশ পাচ্ছে না। অর্থাৎ কার্যত এসব কারখানা বন্ধ। সাব-কন্ট্রাক্ট বা ঠিকা ভিত্তিতে শুধু এই কারখানাগুলো উৎপাদনে টিকে থাকতে পারে। ২০১৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কার উন্নয়নে কাজ করছে অ্যাকর্ড। বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে অ্যাকর্ডের ক্রেতারা পোশাক আমদানি করে থাকে- এরকম দুই হাজার ৯৬টি কারখানাকে প্রাথমিক পরিদর্শনের জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৬৩১টি কারখানার প্রাথমিক পরিদর্শন শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পরিদর্শনে এসব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৮৬ হাজার ৭৮৯টি ত্রæটি ধরা পড়ে। অ্যাকর্ডের তত্ত¡াবধানে এসব ত্রæটির ৮৪ ভাগ এরই মধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। নতুন করে পরিদর্শনের কথা রয়েছে ৭৪টির। ৪৯টিকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৮৮টি কারখানা। স্থানান্তর আবশ্যক হওয়া বাকি ৫৮টি কারখানা এখন আর অ্যাকর্ডের আওতায় নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ