Inqilab Logo

বুধবার, ১২ জুন ২০২৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জয়কে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ মার্কিন আদালতের নাকচ

প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে বাংলাদেশে মামলা হয়েছে। এবং সেই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৬ এপ্রিল বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনের সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে সরকার। একই অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয় আগে থেকে কারাগারে থাকা দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। বিরোধী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে এই দুই সম্পাদকের ঘনিষ্ঠতা থাকায় সরকারের এমন পদক্ষেপকে যখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংস্থাগুলো ‘বিরোধী মত দমনের’ প্রয়াস বলে অভিহিত করছে, এমন সময় একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল’, এমন অভিযোগ আমলেই নেয়নি সেদেশের একটি আদালত।
গত বছর মার্কিন একটি আদালত এক বাংলাদেশীসহ সেদেশের দুই নাগরিককে, যাদের একজন এফবিআই এজেন্ট, দোষী সাব্যস্ত করেছিল ঘুষ দেয়া এবং নেয়ার অভিযোগে। এই তিনজন জয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য (আর্থিক) সংগ্রহ করে দেয়ার শর্তে নিজেদের মধ্যে অর্থের লেনদেন করেন, যা মার্কিন আইনে অবৈধ হওয়ায় তারা দোষী সাব্যস্ত হন। কিন্তু এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জয়কে ‘শারীরিকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা’র অভিযোগ আনা হলেও আদালত যাচাই-বাছাই শেষে তা আমলেই নেয়নি। এ বিষয়ে গতকাল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’ একটি ‘এক্সক্লুসিভ’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউএস কোর্ট ডিসমিসড ক্লেইম অব প্লট টু ইনজুর বাংলাদেশ পিএম সান’ শিরোনামে। অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীপুত্রকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ষড়যন্ত্রের দাবি নাকচ করেছে মার্কিন আদালত’।
রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের হত্যাচেষ্টা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে মার্কিন আদালতের নথির কোনো মিল নেই। বছরখানেক আগে এফবিআইয়ের গোপন নথির বিষয়ে অবৈধভাবে তথ্য সংগ্রহের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত তিন ব্যক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের হত্যা প্রচেষ্টার বিষয়টি জড়িত নয়।’
ডেভিড বার্গম্যান অনুসন্ধানী রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়, “ওই মামলায় আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিল ওই তিন ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদ জয়কে শারীরিক হামলা (ফিজিক্যালি হার্ম) করার পরিকল্পনা করেছিল।’’ কিন্তু বিচারক এ অভিযোগ বাতিল করে দেন।
২০১৫ সালের মার্চে যে তিনজনকে সাজা দেয়া হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ ছিল। কিন্তু গত শনিবার ঢাকায় প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনের সঙ্গে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদকে ‘অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে। যা আদালতের মূল মামলার বিষয়ের সঙ্গে একেবারেই মিল নেই।
‘মৌচাকে ঢিল’ সম্পাদক শফিক রেহমান, যিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গে জড়িত, তাকে তার বাড়ি থেকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার বাসায় ঢোকে। ‘আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও গত সোমবার একই অভিযোগে ‘শ্যোন এরেস্ট’ দেখানো হয়েছে। মাহমুদুর রহমান ২০১৩ সাল থেকে অনেকগুলো মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
‘দ্য ওয়ার’ এই প্রথম মার্কিন আদালতের নথি প্রকাশ করল। ওয়ারের এ প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ সরকার বলছে মার্কিন আদালত যে তিনজনকে সাজা দেয় তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। শফিক রেহমানও এর সঙ্গে জড়িত থাকার ‘প্রমাণ’ তাদের কাছে আছে। সরকার আরো বলেছে, শফিক রেহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি তারা ‘সরাসরি আমেরিকার ওই মামলা’ থেকে জানতে পেরেছে।’
রিপোর্টে বলা হয়, “কিন্তু জনসাধারণ্যে সহজলভ্য মার্কিন নথি ভিন্ন কথা বলছে। ওই ঘটনা ছিল মূলত ঘুষ দেয়া নেয়ার ব্যাপার। যেখানে (রিজভী) আহমেদ এফবিআইয়ের একজন স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক এবং তাদের বন্ধু জোহান্স থেলারকে অর্থ দিয়েছিলেন, যা ২০১১ সালে শুরু হয়। আহমেদ মূলত জয়ের আর্থিক ব্যাপারের তথ্য সংগ্রহে আগ্রহী ছিলেন।



 

Show all comments
  • Masum ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ৪:০৩ পিএম says : 0
    kisu bolar nai.
    Total Reply(0) Reply
  • আরাফাত ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ৪:০৪ পিএম says : 0
    মহান আল্লাহ একদিন সব কিছুর বিচার করবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • রাইসুল ইসলাম ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ৪:০৫ পিএম says : 0
    সময়ের ব্যবধানে আরো অনেক কিছু জানা যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জয়কে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ মার্কিন আদালতের নাকচ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ