পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান নিয়ে মূল দল ক্ষমতায় এলেও এখনও ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে। অবশেষে দীর্ঘদিন পর সরকারের স্লোগানের সঙ্গে তাল মেলাতে ডিজিটাল হচ্ছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ। এজন্য কাজ শুরু করেছেন দফতরের দায়িত্বরতরা। দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর ধরে এই স্লোগানে নিজ দল সরকারে থাকলেও নগর আওয়ামী লীগের দফতর ছিল সেই মান্ধাত্মা আমলের অ্যানালগ পদ্ধতির। তবে সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটি কয়েক দিনের মধ্যেই এই দফতরটিকে ডিজিটালে পরিণত করার কাজে হাত দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ জানিয়েছেন, ডিজিটাল সরকারের দফতর অ্যানালগ থাকতে পারে না। তাই নগর আওয়ামী লীগের দফতরকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাই। সামনের দিকে আরও অনেক কিছুই দেখতে পারবেন বলে জানান মুরাদ। এখন থেকে নগর আওয়ামী লীগ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সাইবার অপরাধ ঠেকাতে সক্রিয় থাকবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন প্রপাগান্ডার জবাব দেয়া হবে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানান তিনি।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সূত্রে জানা গেছে, নগর আওয়ামী লীগ ডিজিটাল না হওয়ায় এতদিন সাংবাদিকদের ফ্যাক্স করা হতো। যা অনেক সময় সাংবাদিকদের দেয়া যেত না। কিন্তু এখন থেকে ফ্যাক্সের পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইমেল দেয়া হবে। এতে সহজেই সংবাদ কভারেজ দিতে পারবেন সাংবাদিকরা। এছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের থানা-ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড নেতাদের কাছে দ্রুত সংবাদ পাঠানো যাবে বলেও জানায় দফতর সূত্র। এতে স্বস্তি-উজ্জীবিত দফতরের কর্মরতরা। এর আগে ডিজিটাল সেবা ও ব্যবহারে পিছিয়ে ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু এবং রাজনৈতিক কর্মকা-ে কার্যালয়টি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু এর আগে কার্যালয়ে ডিজিটালের কোনো ছোঁয়া লাগেনি।
চার তলা এই ভবনেই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ ১৫টি সংগঠনের সাইনবোর্ড আছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তিনতলায়, যেখানে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত একটি সংরক্ষিত কক্ষ আছে। দ্বিতীয় তলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়। দ্বিতীয় তলার এক পাশে রয়েছে ছাত্রলীগের কার্যালয়। আলাদা পাটাতন দিয়ে তৈরি সেমি দোতলায় যুবলীগের কার্যালয়, নিচতলায় সিড়িঘর সংলগ্ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়। চারতলায় জাতীয় রিক্সা ভ্যান শ্রমিক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ। এছাড়াও রয়েছে শেখ রাসেল শিশু কিশোর পাঠাগারের আলাদা আলাদা কক্ষ। চার তলার উপরে ছাদে রয়েছে ৫টি সংগঠনের কক্ষ। ছিন্নমূল হকার্স লীগ, ঘাট শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ। এর আগে মহিলা লীগ, মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকলেও বর্তমানে এ দুটি সংগঠনের পাশের একটি ভবনে কার্যালয় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।