পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই মামলায় জামিন পেলেই বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি পেতে পারেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানী, নাশকতা ও হত্যা মামলাসহ অনন্ত ৬টি মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। আইনি লড়াইয়ে প্রায় সবকটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। দুটি মামলায় জামিন না হওয়ায় কারামুক্তি মিলছে না খালেদা জিয়ার। এখন অপেক্ষা শুধু কুমিল্লার (নাশকতা ও হত্যা) দুটি মামলায় জামিন। এরইমধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দুটি ঈদ পার করতে হয়েছে কারাগারে। আর কয়েকমাস পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপির হাইকমান্ড বলছেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কুমিল্লার আদালতে আগামী ৩০ আগস্ট নাশকতার একটি মামলায় জামিন শুনানি হবে। সব ঠিক ঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরই খালেদা জিয়া কারামুক্তি পেতে পাবেন এমটাই প্রত্যাশা করছেন তার আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইনকিলাবকে বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার আরো আগেই কারামুক্তির কথা ছিল। কারণ গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও সরকার কারাবাস দীর্ঘ করেন। যাতে তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারেন। আমরা প্রত্যাশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি কারামুক্তি পাবেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মানহানি অভিযোগে ঢাকায় ২টি, নড়াইলে ১টি, কুমিল্লায় ৩টিসহ মোট ৬টি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এসব মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করা হয়। এছাড়াও জন্ম দিন ও রাষ্ট্রদোহসহ এসব মামলা খালেদা জিয়া সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে জামিন না পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। আর অরফানেজ মামলা ৩ অক্টোবর পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট। এমামলায় খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তিতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
ঢাকা ও নড়াইলের মামলায় জামিন:
ঢাকা ও নড়াইলে করা মানহানি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৪ আগস্ট বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে গত ৭ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত এই মানহানির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের এই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে গত ১৩ নড়াইলে করা মানহানি মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। এ মামলায় গত ৫ আগস্ট নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। যদিও জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছেন্। যা আগামী ৩০ আগস্ট শুনানি হতে পারে বলে জানা যায়।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। এই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ২ অক্টোবর মুলতবি করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিনের অপেক্ষায় দুই মামলা:
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জামিনের অপেক্ষায় দুই মামলা। কুমিল্লার আদালতে এসব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা ও অপরটি নাশকতার মামলা। খালি ঘোরাচ্ছে। এক মামলায় শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করলেও অপর মামলার নথি তলব করেছেন আদালত। নাশকতা মামলায় জামিন শুনানি করতে আগামী ৩০ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছেন কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক একেএম শামসুল হক। গত ২০ আগস্ট আদালত এ দিন ধার্য করে দেন। ওই আদালতে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। এছাড়া হত্যা মামলায় শুনানির জন্য এখনো দিন ধার্য হয়নি। তবে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত জামিন নামঞ্জুর করলে দায়রা জজ আদালতে আবেদন করতে হবে। সেখানেও জামিন নামঞ্জুর হলে তবে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান জানিয়েছেন, নাশকতার মামলা শুনানি হবে ৩০ আগস্ট। তবে হত্যা মামলাটি কুমিল্লার দায়রা কোর্টে রয়েছে। সেখান থেকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে ওই কোর্টে খালেদা জিয়া পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছে।
সাত দিনের মধ্যে জামিন অবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশষে ক্ষমতা আইনে নাশকতার মামলায় আদেশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতকে জামিন অবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দায়ের করা আপিল আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। এতে পূর্বের দেয়া জামিন আর বহাল থাকলো না। গত ২৬ জুন বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুমিল্লায় করা এক মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ আদেশের অনুলিপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই আদালতে রুল শুনানি হয়। ২০১৫ সালের ২৫জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু যান ভাঙচুরের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। অপরদিকে কুমিল্লর হত্যা মামলায় জামিন শুনানি শেষে নট প্রেস রিজেক্ট করেছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গ, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।