পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী কুমিল্লার মুরাদনগর আওয়ামী লীগের লোকজন থেকে দলীয় মনোনয়ন এনে দেয়ার নামে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বিরুদ্ধে।
মনোনয়ন বাণিজ্যের পাঁচ কোটি টাকা ফেরতের দাবীতে গতকাল দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাশি বিক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হাকিম চেয়ারম্যান জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ২২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ার আশ্বাসে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরকার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তৃণমুলের মতামত ছাড়াই তার একক স্বাক্ষরে ও মনগড়া পছন্দের লোকদের প্রস্তাবিত তালিকা দলের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। তালিকায় নাম নেই, কিন্তু ২০/২৫ লাখ করে টাকা নিয়েছেন। এমন আগ্রহী প্রার্থীরা তাদের টাকা ফেরতের জন্য একাধিকবার জাহাঙ্গীর সরকারের ঢাকার অফিস ও বাড়িতে গিয়েছেন। অথচ টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে টনকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার জানান, ‘আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার আশ্বাসে জাহাঙ্গীর সরকার আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে ৭০ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য একজনের নাম তালিকা করে মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আমি টাকা ফেরত চাইলে এখন উল্টো আমাকে হুমকী দেয়া হচ্ছে।’ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বিভিন্ন ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশি চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও মনোনয়ন বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অভিযোগ করেন। তারা জাহাঙ্গীর সরকারের বিরুদ্ধে মনোনয়নের নামে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইদ্রিস আলী, বাচ্চু মিয়া,্ উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম চেয়ারম্যান, ওমর ফারুক চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুর রহিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল আলম সাধন, ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক মনোনয়ন বাণিজ্যের ৫ কোটি টাকা ভুক্তভোগীদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবী করেন। এদিকে মনোনয়ন বাণিজ্যের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, ‘যারা যোগ্য তারাই মনোনয়ন পাবেন, যারা মনোনয়ন না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।