Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন : আমি প্রেম করে বিবাহ করেছি আজ ৭ বছর। এখন আমার ৩ সন্তান, বিয়ের এক বছর পর থেকে মেয়ের মা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখত, এখন তারা প্রায় মেনে নিয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, আমি আগে জানতাম না যে প্রেম করে বিয়ে করা ঠিক নয়। এখন আমার কি করণীয়?

ইমরান হোসাইন
সিলেট।

প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৮, ৬:৪৯ এএম
উত্তর : আপনার এখন কিছুই করণীয় নেই। প্রেম করে বিয়ে করেছেন। সাত বছর হয়ে গেছে। তিন সন্তানের বাবা হয়েছেন। বাবা মা রাজি ছিলেন, শশুর শাশুড়িও রাজির পথে। তাহলে আর সমস্যা কি? বিয়ে তো করেছিলেন। অতএব সব কিছুই আইনমত ও শরীয়ত সম্মত হয়েছে বলেই মনে হয়। প্রশ্ন থেকে যায় প্রেম করে বিয়ে করা নিয়ে। একথা বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন তা আমার নিকট স্পষ্ট নয়। যদি এর অর্থ পারিবারিকভাবে পছন্দ করে, সামাজিকভাবে বিয়ে হয়, আর এর শুরুটি হয়ে থাকে ছেলে মেয়ে একে অপরকে নিজেরাই পছন্দ করার মধ্য দিয়ে। আর যদি আমরা এটাকেই প্রেমের বিয়ে বলি, তাহলে আপনার তেমন কিছুই করতে হবে না। শুধু বিবাহপূর্ব দেখা-শোনা বা প্রেমের জন্য তওবা ইস্তেগফার করতে থাকলেই চলবে। আর যদি এখানে কোনো কবিরা গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে এর পথও তওবা। বিশেষ কিছু করণীয় নেই। আপনারা সবাই মিলে ভালো থাকুন। 
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ জাকির হোসেন ২৩ আগস্ট, ২০২২, ৩:৩৯ এএম says : 0
    আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু প্রশ্ন হলো,, আমরা প্রেম করছি একে অপরকে মনথেকে ভালোবাসি সম্পর্কে থাকা অবস্থায় একে অপরকে খুব নিকটে চলে আসছি, আমরা বুঝিনাই না বুঝে পাপ করছি,,, এখন আমরা বিয়ে করতে চাই এতে করে আমাদের করণীয় কি আল্লাহকি আমাদেরকে ক্ষমা করবেন। দয়া করে বলবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ শরীফুজ্জামান ২৩ আগস্ট, ২০১৮, ৬:০১ পিএম says : 1
    ভালবাসা যদি স্বর্গ থেকেই আসে আর সেই স্বর্গের মালিক স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলআমিন হন তাহলে এত প্রশ্নের পিছনে দৌড়াদৌড়ি না করে প্রেম, বউ, সন্তানদের প্রাপ্তীর জন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • মো:বিপলব মিয়া ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:১৪ এএম says : 0
    মনে করেন আমাদের একসাথে 20জনকেমাদরাসায় বিয়ে দিছে হুজুর খোতবা নিজে পড়লে এবং বললেন যার সাথে যার বিয়ে ঠিক হয়েছে তোমরা বিয়েতে রাজি আমরা বললাম রাজি আমাদের বিয়েতে সাককি ও ছিল অনেক লোক কিনতু হুজুর তো আমাদে কিছু পড়ায় নাই আমাদের বিয়েটা কিহবে
    Total Reply(0) Reply
  • Nabila Jahan ২০ মে, ২০২০, ৩:৩৭ পিএম says : 0
    প্রেম করা যে হারাম সেটা জানার পর তওবা করার পর ঐ সম্পর্ক থেকে ফিরে আসলে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমা করে দেন
    Total Reply(0) Reply
  • Md Niloy ৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২১ এএম says : 0
    আসসালামু আলাইকুম আমার পেম করেচি তার পর জানতে পারলামপেম হারাম বিয়ের আগে তাই সিদ্ধান্তনিলাম মা বাবাকে রাজি করাবো এবং আল্লাহর রহমতে পপরেচি রাজি করাতে এখন মেয়ের মা বাবা চায় পালিয়ে বিয়ে করতে আমাদের বলে কারন দুই পেমেলি রাজি কিন্তু তাদের কথা হলো.. আমার বাবা বলে আগে মেয়েরা পস্তাব আনতে হবে আর মেয়ের মা বলে আগে ছেলে পস্তাব আনতে হবে এখন ওনেক বড় জামেলায় আচি এখন কি করতেপারিএকটি দয়া করে বলবেন
    Total Reply(0) Reply
  • Sk√ⓢⓗⓤⓜⓐ ১২ জুলাই, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 0
    প্রেম করা জায়েয কি না???
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ আলভি ২০ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৭ পিএম says : 0
    ◾প্রশ্নঃ হারাম রিলেশন করে বিয়ে করার পর তওবা করে নিবো। এতে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন না? ◾উত্তরঃ ১. বিয়ে বহির্ভুত প্রেমের সম্পর্ক স্পষ্ট কবিরা গুনাহ। এটি ক্ষমা করা আর না করা সম্পূর্ণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার উপর নির্ভর করে। শিরিক ব্যতীত অন্য যে কোন গুনাহ তিনি ইচ্ছা করলে অবশ্যই ক্ষমা করে দিতে পারেন, নিঃসন্দেহে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল এবং অসীম দয়ালু। তাই আশা করা যায় খালেস দিলে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তার ক্ষমার ব্যাপারে কখনো নিরাশ হওয়া যাবে না। ২. কিন্তু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক হারাম জেনেও আপনি পরিকল্পনা করলেন প্রেম করে বিয়ে করবেন, তারপর দুজনে মিলে একদিন কেদে জায়নামাজ ভিজিয়ে ফেলবেন। ব্যাস, আল্লাহ তো ক্ষমাশীল। তাহলে জেনে রাখুন, আপনি আল্লাহর বিরুদ্ধে পরিকল্পনাকারীদের একজন হয়ে গেলেন। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন- 'তারাও পরিকল্পনা করে, আল্লাহও পরিকল্পনা করেন, বস্তুত আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী'। তিনি যদি আপনাকে ওই তওবা করার সুযোগটা না দেন!? এমন পরিকল্পনা করে অনেকেই শয়তানের ধোকায় পরে আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এমন, কাউকে এখন পর্যন্ত এমনটা দেখিনি যে, জেনেশুনে হারাম রিলেশন করে বিয়ের পর তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছে। উল্টো তাদেরকে আরো বেশি জাহেলিয়াতে, ফেতনায় পতিত হতে দেখেছি। পূর্বে যেটুকু দ্বীন মেনে চলতো বিয়ের পর সেটুকু তারা হারিয়ে ফেলে। এমনটা তো হওয়ারই কথা, যে সম্পর্কের শুরুই হয় আল্লাহর অবাধ্যতা ও নাফরমানি দিয়ে তাতে কিভাবে শান্তি, তৃপ্তি আশা করা যায়! মালিক ক্ষমাশীল, দয়ালু বলে জেনেশুনে তার অবাধ্য হওয়াটা কোনো প্রভুভক্ত গোলামের কাম্য নয়। অন্তত কোনো খাটি ঈমানদার এমনটা কখনোই করতে পারেনা। তাই এমন চিন্তাভাবনা মনে থেকে থাকলে এখনই ঝেড়ে ফেলুন ইনশাআল্লাহ। এখন এই পোস্ট এ একজনের মন্তব্য ছিল যে, সম্পর্ক করার পর পরিবারের সম্মতিতে যদি বিবাহ করেন তাহলে কেমন হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন :

৩ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ